বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আজ বিকেল তিনটায় আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির বিজয়নগরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে (বিজয়-৭১ চত্ত্বরে) এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র রমজানের আগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ও বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু। আরো বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন প্রমূখ।
মজিবুর রহমান মন্জু বলেন,
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় বসলে দুটি জিনিষ উপহার দেয় একটি হলো একদলীয় শাসন আর দ্বিতীয়টি হলো দূর্ভিক্ষ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর ব্যপারে সরকারের কোন দ্বিধা সংকোচ নাই। যখন যা খুশী তারা তা-ই করে যাচ্ছে। অল্প কয়দিনের মধ্যে তারা তিন তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। পবিত্র রমজান আসার আগেই চিনি, তেল সহ সব ধরনের খাবারের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। তাদের সব নিয়ন্ত্রণ বিরোধী দলের উপর। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন গরীব মানুষের অভিশাপে হাসিনা সরকারের করুণ পরিণতি ইতিহাসে লিখা থাকবে।সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষ নীরব দূর্ভিক্ষে দিনাতিপাত করলেও প্রধানমন্ত্রীর সুখ সম্ভোগের শেষ নাই। তিনি কত পদের খাবার খাচ্ছেন তা হলো আমাদের টেলিভিশনগুলোর হেড লাইন। তিনি কত দামের রং বাহারী শাড়ী পরেন তা হলো সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনা। ইতিহাসে যাদের করুণ পতন হয়েছে তাদের অতীতও একইরকম ছিল। তিনি বলেন রমজানের আগে বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্য আবার বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের উপর জুলুমের ষ্টীম রোলার চালু করেছে, এর প্রতিদান তারা অবশ্যই ভোগ করবে।বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, যুবপার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম ইলিয়াস আলী, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন শরীফ, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, সাইফুল মির্জা, দক্ষিনের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, আহমাদ বারকাজ, ছাত্র বিভাগের সমন্বয়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, যুব পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, মাসুদ জমাদ্দার রানা, সুলতানা রাজিয়া, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, আমিরুল ইসলাম নুর, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, জেসমিন আক্তার মুক্তা, ফেরদৌসী আক্তার অপি, উত্তরের সংগঠক সেলিম খান, আব্দুর রব জামিল, রুনা হোসাইন, নজরুল ইসলাম পল্টন থানা আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মুন্সি, সদস্য রনি মোল্লা, ছাত্রনেতা আশরাফুল আলম নির্ঝর, ফজলে এলাহী, তুবা মেহজাবিন, হাসিবুর রহমান, রাকায়েত তুর্য সহ কেন্দ্রীয়, মহানগর, যুব ও ছাত্র বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।