Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবি পার্টির বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২২, ৩:৫৫ পিএম

দেশকে নৈরাজ্য ও দূর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। এই সরকারকে বিদায় করতে সবাইকে রাজপথে নেমে আসার আহবান।

সাংবিধানিক অধিকার হরণ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গণবিরোধী সরকার এখন দেশের নাগরিকদের নূন্যতম বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। উপুর্যুপুরি নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে তারা দেশকে নৈরাজ্য ও দূর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে- আজ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবি পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এবি পার্টির আহবায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুব পার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আব্দুর রহমান, ফিরোজ কবীর, গাজী নাসির, সুলতানা রাজিয়া, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, আলী নাসের খান, শিলা আক্তার, মোহাম্মদ প্রিন্স, সাইফুল মির্জা, আহমেদ বারকাজ নাসির, আমিরুল ইসলাম নুর প্রমুখ।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী দাম কমে গিয়ে যখন প্রতি লিটার তেলের মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ৬০ টাকায় নেমে এসেছে, তখন সরকার ৬০ টাকার তেল জনগণের কাছ থেকে ১৩৫ টাকা নিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন করছে। এ টাকা তারা কোথায় পাচার করবে? জনগণের কাছে তার জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন এমন চোর, দুরাচার ও ডাকাত সরকারের কবলে পড়ে দেশ আজ ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সরকারকে বিদায় করার জন্য তিনি সবাইকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম গতরাতে সরকার কর্তৃক আকস্মাৎ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে ২৫ শে মার্চের কালো রাতের সাথে তুলনা করে বলেন, পাকিস্তানী হানাদারেরা সেদিন রাতের আঁধারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। আর বর্তমান সরকার গতকাল গভীর রাতে অতর্কিতে তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের থাবা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে আমাদের উপর। তাদের এই হিংস্র অর্থনৈতিক থাবায় এখন আমাদের দেশের উৎপাদন কমে যাবে, কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, সরকার ও তার দালালেরা ফুলে ফেঁপে মোটা হবে আর জনগণ শুকিয়ে মরবে। তিনি বলেন সরকার জ্বালানি তেলের এই অভাবনীয় মূল্যবৃদ্ধি করে তাদের দূঃশাসনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। জনক্ষোভের এই দাবানল থেকে সরকারের পতন হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন,
বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হরণ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গত ১৪ বছর যাবত রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে বসে আছে বর্তমান সরকার।প্রতিনিধিত্বহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী এখন বলছেন, তাকে সরানোর জন্য নাকি ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে! আমরা জানিনা কে, কোথায় এই ষড়যন্ত্র করছে! তিনি যদি জেনে থাকেন তাহলে জাতি তাদের নাম, পরিচয় জানতে চায়। তিনি বলেন, জনগণের প্রাণের দাবী হলো ভোটচোর ও ডাকাতদের সর্দার এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ। মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট শাসনকে বিদায় জানাতে চায়। তিনি আরও বলেন- ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্র বলে চিৎকার করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য দেশকে নৈরাজ্য ও দূর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেবেননা। দেশের মানুষ আজ এই দূঃশাসন দীর্ঘায়িত হবার ভয়েই সবচেয়ে বেশী সন্ত্রস্ত।গণতন্ত্র, শান্তি ও মৈত্রীর পথ ধরে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতি বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে এসে শেষ হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ