বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলাপাড়ায় বাংলাদেশ রুর্যাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিআরডিবি)’র অর্ধকোটি টাকা লোপাটের তথ্য ফাঁস হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউসিসি। ১৬ নভেম্বর ইউসিসি (উপজেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ সোসাইটি)’র ৩৪ তম বার্ষিক সাধারন সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করে সমবায়ীরা। এছাড়া করোনাকালীন সমবায়ীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ প্রনোদনা ঋনের ২৮ লক্ষ টাকা বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ ও ইউসিসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, কলাপাড়া বিআরডিবি’র অধীন ইউসিসি’র ২৮৩টি সমিতি রয়েছে। এসকল সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫৭৪৬ জন। এসকল সমিতিতে আবর্তক ও কৃষি ঋন বিতরন করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৬০ লক্ষ টাকা ঋন অনাদায়ী রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় প্রাপ্ত সরকারী অনুদান ও করোনার প্রনোদনা ঋন বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি উপজেলা প্রশাসনের অজ্ঞাতসারে সরকারী প্রনোদনার এ ঋন বিতরন করা হয়। যা নিয়ে উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় অসন্তোষ প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন।
বিআরডিবি’র সাবেক ইউসিসি চেয়ারম্যান মোসলেম আলী খলিফা বলেন, ’আমি দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে সরকারী অনুদানের ৬০ লক্ষ টাকা এফডিআর করি সমবায়ীদের স্বার্থে। এরপর ১৯ লক্ষ টাকা অনুদানের চেক অফিসে জমা রেখে আসি। আমার পর দায়িত্বে আসেন খালেক সিকদার। তিনি বিআরডিবি’র তৎকালীন কর্মকর্তা নুরু হোসেন চৌধুরীর সাথে গোপন সখ্যতা বজায় রেখে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া এফডিআর ভেঙ্গে কিছু টাকা ঋন ফান্ডে এনে বিতরন করেন। বাকী টাকার কোন হদিস নেই।’
মোসলেম আলী খলিফা আরও বলেন,’১৬ নভেম্বর ইউসিসি’র সাধারন সভায় সমবায়ীরা এফডিআর সংক্রান্ত আয়-ব্যয়ের তথ্য চাইলে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার থাকে। তাই সমবায়ীদের স্বার্থে সমবায়ী মনিবুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান ও জীবন মন্ডল’র সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি অভ্যন্তরীন অডিট কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন মাসের মধ্যে পুন:রায় সাধারন সভা আহবান করা হবে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক অপর এক সমবায়ী বলেন,’আমরা সমবায়ীরা বিআরডিবি ও ইউসিসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনে দুদক কর্তৃক্ষকে লিখিত ভাবে অনুরোধ জানাবো।’
ইউসিসি’র অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান আ: খালেক সিকদার বলেন, ’আমার সময়ে এক টাকার অনিয়ম হয়নি। অফিস থেকে তথ্য নিতে পারেন।’
বিআরডিবি’র হিসাব রক্ষক মো: মাইনুদ্দিন’র কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চাইলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তিনি দিতে পারবেন না বলে জানান।
উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আ: কুদ্দুস বলেন, বিআরডিবি’র ঋন বিতরন কার্যক্রমে কোন অনিয়ম করা হয়নি। এছাড়া করোনার প্রনোদনা ঋন বিতরনে ইউএনও কমিটিতে না থাকায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউসিসি’র বর্তমান চেয়ারম্যান আ: রাজ্জাক তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সন্ধ্যায় কথা বলবেন বলে জানান।
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, বিআরডিবি কর্মকর্তাকে আমি ডেকে করোনার প্রনোদনা ঋন বিতরন সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম, তিনি এটি তার এখতিয়ারভ‚ক্ত বলে আমাকে জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।