Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণরুমের বর্বরতা

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২৩, ১২:০০ এএম

সম্প্রতি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর উপর অমানবিক নির্যাতন ও সম্মানহানির ঘটনা ঘটেছে তার কিছু অংশ আমি নিচে তুলে ধরবো। গণরুমে নিয়ে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, নির্যাতিত শিক্ষার্থী এমন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে চিৎকার করলে মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেয়া হয় এবং তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। এই যে একটা শিক্ষার্থীর সাথে এমন বর্বরতা ঘটে গেলো, যা আগেও অনেকবার ঘটেছে, হয়তো আগামীতেও ঘটবে, এসবের দায় কার? একটা ছেলে কিংবা মেয়ে যখন তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ পায় এবং তখন সে হাজারটা স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডিতে পা রাখে। কিন্তু সেই তরতাজা স্বপ্ন যখন গণরুমের বর্বর নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়ে যায়, তখন সেই স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থী তার স্বপ্নময় জগৎ থেকে ছিটকে পড়ে। এইযে স্বপ্নহত্যার ব্যাপারটা, এটা থেকে আসলে আমরা কী বুঝতে পারি। একটা তিলে তিলে গড়া একটা স্বপ্নের জগৎ, যা কিনা গণরুমের সেই ছয়-সাত ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে তছনছ হয়ে যায়, এর দায় কার? এমনও ঘটেছে গণরুমের পৈশাচিক নির্যাতনের পর একটা শিক্ষার্থী তার স্বপ্নকে মাটিচাপা দিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছে, যা কিনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। বড়ো ভাইবোন দ্বারা ছোট ভাইবোন নির্যাতিত হওয়া? সারারাত নিষ্পেষণ নির্যাতনের শিকার হওয়া? অথচ, গণরুমটা তো অন্যরকম হতে পারতো। এই ধরুন একটি স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীকে একটি গণরুমে নিয়ে নির্যাতনের বিপরীতে তাকে আরো স্বপ্নবাজ করে তোলা যেতো। তাহলেই গণরুমের প্রতি আজ আমাদের যে তিক্ত অনুভূতি সেটা বদলে যেতো। তেমন একটা পরিবেশ কি আমরা প্রত্যাশা করতে পারি না?

মো. ইমরান রানা
শিক্ষার্থী, হেনরি ইনস্টিটিউট অব বায়োসাইন্স টেকনোলজি, রাজশাহী



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন