পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে বিএনপির নেতাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ ও বক্তব্য-বিবৃতি না থাকলেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের মধ্যে তার কমতি নেই। মন্ত্রীদের কেউ বলেন, রাজনীতি করতে পারবেন না, কেউ বলেন পারবেন। এ নিয়ে মন্ত্রীদের নিজেদের মধ্যেই মত-দ্বিমত চলছে। আইনমন্ত্রী সর্বপ্রথম এ ব্যাপারে কথা বলেন। তিনি খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের শর্ত এবং সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে যা বলেছেন তার সারমর্ম হচ্ছে, খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারেন। তিনি করবেন কিনা, সেটা তার ব্যাপার। তবে সংবিধান অনুযায়ী, তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং রাজনীতির ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতির মধ্যে বিষয়টি অনেকটা চমক হয়েই আসে। কারণ, রাজনীতি থেকে বাইরে এবং গৃহবন্দী হয়ে অনেকটা আড়ালে চলে যাওয়া খালেদা জিয়াকে হঠাৎ রাজনীতির আলোচনায় নিয়ে আসাকে অনেকে আওয়ামী লীগের কৌশলের অংশ হিসেবে মনে করছেন। তার আগে গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম সংসদ অধিবেশনে বলেছিলেন, ‘সাজা স্থগিতের জন্য খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।’ তখন তার এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ ধরনের মুচলেকা দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি মিথ্যা ও আজগুবি বক্তব্য দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকও বলেন, রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ না করার জন্য খালেদা জিয়ার মুচলেকা দেয়ার প্রশ্ন উঠতে পারে না। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, সাধারণত মুচলেকা দেয়া হয় অপরাধমূলক বা অপরাধজনিত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি হিসেবে। রাজনীতি নিঃসন্দেহে অপরাধমূলক কাজ নয়। তবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার যে সাজা স্থগিত করা হয়েছে, তার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র এবং আইনি দিক বিশ্লেষণ করে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
দুই.
বিএনপির পক্ষ থেকে বরাবরই অভিযোগ করে হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য সরকার সাজা দিয়েছে। জ্ঞানী-গুণীজন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এমন একটা পারসেপশন রয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক কারণেই সাজা দেয়া হয়েছে। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য ও দুর্বল করে দেয়ার জন্য তার এই সাজা। এর স্বপক্ষে অনেকে যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন, ক্ষমতাসীন দলের এমপি থেকে শুরু করে প্রভাবশালী নেতাদের কেউ কেউ ফৌজদারি মামলায় দ-িত হয়েও কারামুক্ত এবং এমপি হয়ে আছেন। কক্সবাজারের আলোচিত এক সাবেক এমপি এবং ঢাকা-৮ আসনের এমপি দ-িত হয়েও মুক্তি পেয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ঢাকা-৮ আসনের এমপি কিছুদিন সাজা ভোগ করে মুক্ত হয়েছেন এবং স্বপদেই বহাল আছেন। এমন আরও উদাহারণ রয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে থেকে নির্বাচন করেছেন। এসব উদাহরণ যখন সামনে আনা হয়, তখন সাধারণ ও সচেতন মানুষের এমন ধারণা হতেই পারে, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক কারণেই সাজা দেয়া হয়েছে এবং তাকে মুক্ত করা হচ্ছে না। তারা এটাও মনে করছে, আইন ক্ষমতাসীন দলের জন্য একরকম এবং বিরোধীদলের ক্ষেত্রে অন্যরকমভাবে ব্যবহৃত হয়। এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে সরকার পক্ষের কথা নানা ব্যাখ্যা দিয়ে সেটা প্রতিষ্ঠিত করা হয়। দিন শেষে সরকারের ব্যাখ্যাই বহাল থাকে। এখানে অন্যদের যুক্তি বা ব্যাখ্যা প্রাধান্য পায় কম। কারণ, আইন প্রয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতেই থাকে। আইনমন্ত্রী যখন বলেছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। তখন বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহের পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক। বলার অপেক্ষা রাখে না, খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে শুরু করলে বিএনপি’র রাজনীতি খোলনলচেই বদলে যাবে। অসুস্থ অবস্থায়ও যদি তিনি বাসার বারান্দায় এসে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দুটো কথা বলেন, তাতেই তারা উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার তা করতে দেবে কিনা? সাধারণভাবে চিন্তা করলে, তা করতে দেয়ার কোনো কারণ নেই। খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন, বিএনপি শক্তিশালী হয়ে উঠবে, এটা আওয়ামী লীগ মেনে নেবে, তা বিশ্বাস করা কঠিন। তাহলে, সরকার কেন বলছে, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা বিএনপিকে ফাঁদে ফেলা এবং বেগম খালেদা জিয়াকে নতুন করে বিতর্কিত করার একটা কৌশল। কারণ, তাকে মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দেয়া হয়েছিল। প্রথমত তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দ্বিতীয়ত বিদেশে যেতে পারবেন না। এই দুই শর্তই বেগম খালেদা জিয়া কঠোরভাবে মেনে চলেছেন। শুধু শারীরিক পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন এমনও শোনা গিয়েছিল, তার সাথে দলের শীর্ষ নেতাদেরও দেখা করার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ ছিল। এমন কঠোর পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে তার রাজনীতি করতে বাধা নেই, সরকারের পক্ষ থেকে যখন এই বক্তব্য দেয়া হয়, তখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এটা সরকারের কৌশল বা ফাঁদ যদি ধরা হয়, তবে এর ব্যাখ্যা হতে পারে এমন, তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন, নেতাকর্মীদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ শুরু করলেন, তখন সরকার বলে বসতে পারে, উনি সাজা স্থগিতের শর্ত অমান্য করেছেন। কারণ, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই এবং এক কথার ব্যাখ্যা অন্যভাবে দেয়ার ঘটনা অহরহ ঘটে। সাধারণ মানুষের পারসেপশন অনুযায়ী, খালেদা জিয়া যেহেত রাজনীতির শিকার, তাই সরকারও রাজনৈতিক কৌশলের আশ্রয় নিয়ে শর্ত অমান্যর কথা বলতে পারে। তখন নতুন করে তিনি আবার অসম্মানজনক পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনের বেশি দেরি নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের ওপর দেশ-বিদেশের চাপ আছে। বিএনপি সবচেয়ে বেশি জনসমর্থিত ও বৃহৎ বিরোধীদল। আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এটা আওয়ামী লীগও জানে। বিএনপি যেহেতু এখন পর্যন্ত সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে অনড় অবস্থানে রয়েছে, তাই বিএনপিকে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচনে আনতে কৌশল অবলম্বন করতেই পারে। এক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়া তাদের হাতের ট্রাম্পকার্ড। এই ট্রাম্পকার্ড নিয়ে সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করবে, এটাই স্বাভাবিক। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক কেউ কেউ বলেছেন, রাজনীতিতে কৌশল অবলম্বন করা দোষের কিছু নয়। কৌশল যেকোনো দলই নিতে পারে। আওয়ামী লীগও কৌশল অবলম্বন করবে। তাদের কথা অনুযায়ী ধরে নেয়া যায়, কৌশলের প্রাথমিক অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই বলে বক্তব্য দিয়েছে। এ বক্তব্য আরও অনেক আগেই সরকার দিতে পারত। তখন দেয়নি। এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার দ্বার খুলে দিয়ে বিএনপির সামনে একধরনের ‘প্রলোভন’ দেয়া হয়েছে। এতে বিএনপি প্রলুব্ধ না হলে সরকারের সামনে দ্বিতীয় পথ খোলা রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে পুনরায় জেলে পাঠিয়ে দেয়া।
তিন.
বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন এবং তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কিনা, তা আগামীর পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মুখে এখন ‘খেলা হবে’ কথাটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। এই খেলার অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এটা হতে পারে, বিএনপির নেতাকর্মীদের আশা-নিরাশা কিংবা বিভ্রান্তির দোলাচালে ফেলে দেয়া। কারণ, বিএনপি এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘পদযাত্রা’ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করছে। তাদের মনোযোগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে। এই মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর কৌশল হিসেবে ক্ষমতাসীন দল বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারা, না পারার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা এ নিয়ে তেমন কোনো উচ্ছ্বাস বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন না। এটাও খেলার অংশ কিংবা ক্ষমতাসীন দলের ফাঁদ এড়িয়ে চলা কিনা, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বিএনপি যে সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে, সেটাও পাতানো খেলা কিনা। সাধারণত সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং তার বিরোধিতা করে ক্ষমতাসীন দলের সমান্তরাল কর্মসূচি পালন দেখা যায় না। ফলে বিএনপি যে আন্দোলন করছে, তা সরকারের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে করছে কিনা, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বিএনপির কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিয়ে এমন কথাও প্রচলিত, তারা সরকারের সাথে সুসম্পর্ক রেখে রাজনীতি করছেন এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অনেকের মতে, তাদের কারণে দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে পারছে না। বেগম খালেদা জিয়া যে জেল খেটেছেন এবং রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে, তা ঐসব নেতার ব্যর্থতার কারণেই হয়েছে। এটাও তো সত্য, বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের ব্যাপারে বিএনপি কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের সাথে যোগাযোগ করে সাজা স্থগিতের ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছে।
চার.
ক্ষমতাসীন দল যে কয়টি বিরোধীদলের কম-বেশি জনসমর্থন ও নির্বাচনে আসন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজটি সফলভাবে করতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। জাতীয় পার্টিকে যে জাতীয় সংসদের ‘গৃহপালিত’ বিরোধীদল বলা হয়, তার কারণ ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরশাদকে মামলা এবং জেলের খড়গ সামনে ঝুলিয়ে রেখে জাতীয় পার্টিকে বশ করে রেখেছিল। যখনই এরশাদ সরকারের বিপক্ষে মোচড় দিয়েছে, তখনই তার মামলা-মোকদ্দমা সামনে চলে এসেছে। জাতীয় পার্টিকে বশে রাখার ক্ষেত্রে এরশাদ হয়েছিলেন সরকারের ‘ট্রাম্পকার্ড’। এরশাদ মারা যাওয়ার পর জিএম কাদের সরকারের প্রতি কঠোর হওয়া শুরু করা মাত্রই মামলা দিয়ে তার পার্টির চেয়ারম্যানশিপ স্থগিত করে দেয়া হয়। ফলে তাকেও নমণীয় হয়ে যেতে হয়। বিএনপি’র ক্ষেত্রেও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে সরকার ‘ট্রাম্পকার্ড’ হিসেবে নিয়ে নিয়েছে। এই ‘ট্রাম্পকার্ড’ মাত্র দেখানো শুরু করেছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে বিএনপিকে বাগে আনতে এর ব্যবহার যে সরকার আরও বেশি করে করবে, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ, আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে বিএনপিকে সরকারের প্রয়োজন। সরকারও জানে, বিগত দুটি বিতর্কিত নির্বাচন সামাল দিতে পারলেও আগামী নির্বাচনে তা সম্ভব নয়। বিশ্ব পরিস্থিতি ও রাজনীতি বদলে গেছে। এবার নির্বাচন বিতর্কিত হলে তা দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশ যেভাবে আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার তাকিদ দিচ্ছে, তা সরকারের পক্ষে উপেক্ষা করা কঠিন। ফলে সরকার নিজে টিকে থাকা এবং নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান, নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিএনপি এখন পর্যন্ত যে অনড় অবস্থানে রয়েছে, তা সরকারের জন্য স্বস্তির বিষয় নয়। ফলে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তার হাতে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে রয়েছে বেগম খালেদা জিয়া। এখন দেখার বিষয়, বিএনপি কি করে।
darpan,[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।