Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নদী বাঁচাতে হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২৩, ১২:০২ এএম

গ্রীষ্ম মওসুমের প্রারম্ভেই দেশের নদীগুলোর অধিকাংশই প্রায় শুকিয়ে গেছে। বড় নদীগুলোতেও পানি নেই। হেঁটে পারাপার হচ্ছে মানুষ, অসংখ্য চরও জেগেছে। এ ব্যাপারে গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকার খবরের শিরোনাম হচ্ছে: শুকিয়ে গেছে নওগাঁর সাত নদী। খরায় ধুঁকছে জয়পুরহাটের পাঁচ নদী। খরস্রোতা বড়াল নদের বুকে চাষাবাদ হচ্ছে ফসল। হেঁটেই তিস্তা পারাপার! অর্ধশতাধিক নদী নাব্য সংকটে। দিনাজপুরের ১৯ নদী মরা খাল। রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের গত ৫০ বছরে ছোট-বড় ৩ শতাধিক নদী হারিয়ে গেছে। বর্তমানে কোনোরকমে বেঁচে থাকা শতাধিক নদী যৌবন হারিয়ে ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। কপোতাক্ষ নদীতে ভাটার সময়ও জেগেছে চর, তাতে ফুটবল খেলছে তরুণেরা। এরূপ আরো কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছে গত জানুয়ারি মাসে। চলতি মাসেও এরূপ খবর প্রকাশিত হবে। অর্থাৎ সারাদেশের নদীগুলোর চিত্র করুণ, মৃতপ্রায়! নদীগুলোর এ মরণ দশার জন্য দায়ী ভারতের পানি আগ্রাসন নীতি। তথা ভারত অভিন্ন আন্তর্জাতিক ৫৪টি নদীর পানি ঠিকমত না দেওয়ায় নদীগুলোর এ পরিণতি। এ জন্য দ্বিতীয় দায়ী হচ্ছে, অভ্যন্তরীনভাবে নদীগুলোকে রক্ষা করা হচ্ছে না। ২০২১ সালে উচ্চ আদালতে এক রিটে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের নদীর সংখ্যা নিয়ে একেকটি পক্ষের একেক হিসাব রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দেশে নদীর সংখ্যা ৪০৫টি। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের হিসেবে ৭০৭টি নদী আছে। আর বেসরকারি গবেষণায় ১,১৮২টি নদীর কথা বলা হয়েছে। অন্য এক তথ্য মতে, ১৯৮৭-৮৮ সালের সর্বশেষ জরিপে বর্ষাকালে বাংলাদেশে নদীপথের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার এবং শুষ্ক মৌসুমে ৩,৮২৪ কিলোমিটারে। অথচ নেডকোর সমীক্ষা অনুযায়ী ১৯৬২-৬৭ পর্যন্ত বাংলাদেশে নদীপথের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ২৪,১৪০ কিলোমিটার। এ হিসাব মতে, গত আট দশকে দেশের নদীর সংখ্যা কমতে কমতে এর দৈর্ঘ্য ঐ অবস্থায় উপনীত হয়েছিল! এর পর অর্থাভাবে দীর্ঘদিন নৌপথের জরিপ হয়নি। তবে, ২০১০ সালের আগে নৌপথ ৩,২০০ কিলোমিটারে চলে এসেছিল। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে ৫ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সচল থাকছে বলে খবরে প্রকাশ।

তিস্তা চুক্তি এ দেশের মানুষের প্রধান দাবি। তবুও ভারত দীর্ঘদিন থেকে সে চুক্তি হবে হবে বলেও করছে না। তাই এটা প্রায় নিশ্চিত যে, ভারত তিস্তাচুক্তি করবে না। এই অবস্থায় চীন তিস্তা মহাপরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছে। উপরন্তু উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং তার সমুদয় অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদানের কথাও জানিয়েছে। তবুও সরকার উক্ত প্রকল্প অনুমোদন করছে না। এটা ভারতের গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ার কারণেই হচ্ছে না বলে মানুষের ধারণা। তিস্তাচুক্তি অথবা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিস্তাপাড়ের ও তিস্তার শাখা নদী সংশ্লিষ্ট মানুষের সর্বনাশ চলছেই! অন্যদিকে, ঐতিহাসিক চুক্তি বলে খ্যাত ফারাক্কা চুক্তির কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। ১৯৯৬ সালে সম্পাদিত ৩০ বছর মেয়াদী এ চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লোজ না থাকায় এ অবস্থা হয়েছে। কিন্তু ফারাক্কা চুক্তি ফলপ্রসূ না হওয়ায় প্রমত্তা পদ্মা শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে। উপরন্তু পদ্মার শাখা-প্রশাখাসহ অন্তত ৩৬টি নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা ও শাখা নদীগুলোর বুকে জেগে উঠছে বিশাল বিশাল চর। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ, কৃষি ও নৌযোগাযোগ। তবুও এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনো আপত্তি কিংবা চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করার জন্য ভারতের সাথে কোনো দেন দরবার করা হয়নি। এ চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালে শেষ হবে। অথচ অভিন্ন সিন্ধু নদীর পানি বণ্টনে ভারত ও পাকিস্তান চুক্তি করেছে বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায়। এর ফলে পাকিস্তান সিন্ধু নদীর ৮০% পানি পাচ্ছে। আর কথিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা চুক্তির ফল শূন্য! অর্থাৎ একই বিষয়ে চির বৈরী সম্পর্ক বলে খ্যাত ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রের চেয়ে রক্তের বন্ধনের সম্পর্ক বলে খ্যাত ভারত ও বাংলাদেশের ক্ষেত্র ভিন্ন তথা বিপরীত! কারণ, ভারত শক্তের ভক্ত আর নরমের যম। যা’হোক, এই দুটি নদীর ন্যায় ভারতের সাথে অভিন্ন ও আন্তর্জাতিক আরো ৫২টি নদীর ক্ষেত্রে নতজানুতার কারণে এ দেশের বেশিরভাগ নদী মরে গেছে। যেগুলো এখনো জীবিত আছে, তাও মরণাপন্ন হয়েছে! অথচ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন নদীর পানিসম্পদ বণ্টন, সেচ এবং বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যৌথভাবে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর জেআরসির সভা হওয়ার কথা থাকলেও ভারতের অনীহার কারণে তা হয় না। কালেভদ্রে হলেও তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে না ভারত! দীর্ঘ ১২ বছর পর সর্বশেষ ৩৮তম সভা হয়েছে গত ২৩ আগস্টে। অপরদিকে, দেশের অভ্যন্তরীণ দখলদার ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণেও দেশের নদীগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

হাইকোর্ট দেশের নদীকে জীবন্ত বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। নদীগুলো রক্ষা করার জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছে ২০১৩ সালে জারিকৃত আইন বলে। সর্বোপরি বাংলাদেশে কত নদী রয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা এবং কারা কোথায় নদী দখল করেছে তার বিভাগওয়ারী তালিকা ছয় মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন। এর আগে জাতীয় নদী কমিশন নদী দখলদারদের একটি তালিকা করেছে ২০২০ সালে। সে মতে নদী দখলদারদের সংখ্যা ৬৩ হাজার। কিন্তু তাদের উচ্ছেদ করে নদীকে মুক্ত করা এবং দখলদারদের শাস্তি দেওয়া হয়নি। বলা হচ্ছে, নদীখেকোরা খুবই প্রভাবশালী। কিন্তু তাদের শক্তি কি সরকারের শক্তির চেয়ে বেশি? মোটেও তা নয়। তবুও নদী দখলদারদের শাস্তি এবং নদীকে দখলমুক্ত করা হচ্ছে না সরকারের সদিচ্ছার অভাবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, নদী সংরক্ষণ বিষয়ক টাস্কফোর্সের তথ্যানুযায়ী, সারা দেশের ৪ শতাধিক নদীতে বছরে প্রায় ৩ কোটি টন পলি জমে। তন্মধ্যে উজান থেকে দেশের নদীগুলোতে ১.২ বিলিয়ন টন পলি ভেসে আসে, যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্স সেন্টারের তথ্যে জানা গেছে। এসব পলি সরিয়ে নদীর প্রবাহ ফেরাতে প্রয়োজন ৮ লাখ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ২০০টি ড্রেজার। কিন্তু তা নেই দেশে। যা আছে (কম ক্যাপাসিটির বিআইডব্লিউটিএ’র ৪৫টি ও পাউবো’র ৩০টি ড্রেজার আছে), তা দিয়েই কিছু নদী পুনঃখনন করা হচ্ছে। সেটাও সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে পবা জানিয়েছে! বিআইডব্লিউটিএ-এর প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সচল করা হবে। নদীতে ব্যাপক পলিথিন ও প্লাস্টিক জমে থাকার কারণে নদী পুনঃখননে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে গ্রীষ্মকালে নৌ চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এতে সড়ক ও রেলপথের উপর চাপ ও ব্যয় বাড়ছে। খবরে প্রকাশ, এক টন পণ্য প্রতি কিলোমিটার পরিবহনে যেখানে সড়কপথে ব্যয় হয় সাড়ে চার টাকা, রেলপথে আড়াই টাকা, সেখানে নৌপথে খরচ হয় মাত্র ৯৯ পয়সা। পরিবহন খরচ বেঁচে যাওয়ায় কমে আসে পণ্যের দাম। সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ঝুঁকছে নৌপথ উন্নয়নে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে সড়কের পরিবর্তে নৌপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করলে বিপুল পরিমাণে ডিজেল বেঁচে যাবে। পাশাপাশি ১ লাখ ৫৫ হাজার টন কম কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন হবে। পণ্য পরিবহন ব্যয় এক-পঞ্চমাংশে নেমে আসবে। তবুও এদিকে সরকারের তেমন ভ্রুক্ষেপ নেই। নদীগুলোতে নানা দূষিত বর্জ্য পড়ার কারণে পানি দূষিত হয়েছে। এক গবেষণা রিপোর্ট মতে, এশিয়া প্যাসিফিকের নদীর পানির মধ্যে বাংলাদেশের নদীর পানি সবচেয়ে বেশি দূষিত। তন্মধ্যে ২৯টি নদী মারাত্মকভাবে দূষণের শিকার! দেশের অধিকাংশ নদীর বাঁধ শক্ত ও উঁচু না হওয়ায় একটু বর্ষাতেই দু’তীর ভেসে সমগ্র এলাকায় ব্যাপক বন্যা হয়। অনেক বাঁধ ভেঙ্গে সব কিছু তলিয়ে যায়। ফলে বহু মানুষ গৃহ ও ভূমিহীন হয়। সিইজিআইএসের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৭৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশের ১,৭০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৭.১৫ লাখ মানুষ। হালনাগাদ এ তথ্য নেওয়া হলে ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেড়ে যাবে নিঃসন্দেহে। এ অবস্থায় ২০২১ সালের ২৭ মার্চ এক অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, শিল্পায়নের কারণে প্রকৃতির ভারসাম্যের ক্ষেত্রে অনেকগুলো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ হাতে নিয়েছে। এছাড়া, সারাদেশে ১৬,৭০০ কিলোমিটার বাঁধ, উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার বাঁধ এবং ডুবো বাঁধ রয়েছে ২.৫ হাজার কিলোমিটারের মতো। নদী ভাঙনের কবল থেকে বাঁচাতে স্থায়ী প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, নদীর উপর যেসব সেতু রয়েছে, তার অধিকাংশেরই উচ্চতা কম। বিআইডব্লিউটিএ ২০২১ সালে দেশের ৯৯টি সেতুর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখেছে ৮৫টিরই উচ্চতা কম। ফলে বর্ষা মৌসুমে এসব সেতুর নিচ দিয়ে বড় নৌযান চলাচল করতে পারে না। সংস্থাটি এ জরিপ রিপোর্টটি সরকারের কাছে দাখিল করেছে।

দেশের নদীগুলোর বর্ণিত অবস্থার কারণে কৃষি, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও নৌপরিবহনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দারিদ্র, গৃহ ও ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে। দেশ মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। ভূউপরিস্থ পানি স্বল্পতার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। তাতে নানা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। স্মরণীয় যে, নদীগুলোর ন্যায় একই অবস্থা দেশের প্রায় সব খাল, বিল, হাওর-বাওর, জলাশয়, নালা, দীঘি ও পুকুরের। দেশে এসবের সংখ্য বিপুল।
দেশের কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা এবং নৌপরিবহনের উন্নতির জন্য বর্তমান জীবিত সব নদীকে বাঁচাতে হবে (একই সাথে সব হাওর-বাওর, বিল, নালা, দীঘি ও পুকুরও)। সে লক্ষ্যে সব নদীকে দখলমুক্ত করে স্থায়ী সীমানা নির্ধারণ করে বড় পিলার ও ফলজ বৃক্ষ রোপন এবং নদীতে পলিথিন, প্লাস্টিক ও দূষিত বর্জ্য ফেলা নিষিদ্ধ করে তা বাস্তবায়ন, নদীর উপর নির্মিত নিচু সেতু ভেঙ্গে ফেলে উঁচু সেতু নির্মাণ, দখলদারদের কঠোর শাস্তি প্রদান,ভালভাবে পুনঃখনন, ৮ লাখ টন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রয়োজনীয় ড্রেজার সংগ্রহ করে ব্যবহার ইত্যাদি করতে হবে। প্রয়োজনে এসব ক্ষেত্রে ঢাকার খাল উদ্ধারের ন্যায় আর্মির সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। নদী ভাঙ্গন রোধ এবং বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব বাঁধ প্রয়োজন মোতাবেক উঁচু ও শক্ত করতে হবে। নদী সংক্রান্ত পৃথক মন্ত্রণালয়ের দাবি উঠেছে, যা আবশ্যক। উপরন্তু অভিন্ন সব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করার জন্য ভারতের সাথে শক্ত দেন দরবার করতে হবে। তাতে কাজ না হলে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাইতে হবে সাগরের সীমানা নির্ধারণের ন্যায়। অভিন্ন নদীগুলোর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সমন্বয়ে পানি বণ্টন ও ব্যবহারের নীতিমালা করে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে সংশ্লিষ্ট সব দেশই উপকৃত হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন