পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সম্প্রতি একটি সামাজিক আন্দোলনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আন্দোলটির নাম ‘জাতীয় শিক্ষা সেবা পরিষদ’। সংক্ষেপে যাকে জাশিপ বলা হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে আন্দোলনটির যাত্রা শুরু হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা সেবা পরিষদের এক্সিকিউটিভ মেম্বার বর্তমানে ২৭ জন। পরিষদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের ফেলো ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. হাসনান আহমেদ। আর পরিষদের সেক্রেটারি নিযুক্ত হয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এন আই খান (নজরুল ইসলাম খান)।
নতুন এ পরিষদ মনে করে, স্বাধীনতা অর্জনের তুলনায় কষ্টার্জিত স্বাধীনতা সুসংহতকরণ ও সমৃদ্ধকরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি স্বাধীন এ জাতির সামগ্রিক উৎকর্ষ সাধন একটি প্রয়াসসাধ্য ব্যাপার। গত ৫১ বছরে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। দেশের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। বিগত ২০ বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। শিক্ষা ও সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত মান মোটেও বাড়েনি। শিক্ষাব্যবস্থাপনায় সেবা এবং পরিবেশের সংকট ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষার হার বাড়লেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিকতা নেই। তাদের মাঝে দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা এবং সেবার মানসিকতা নেই বললে অত্যুক্তি হবে না। অন্যদিকে জীবনমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষার অভাবে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৪ কোটির উপরে। অথচ, বিদেশের লাখ লাখ শ্রমিক বাংলাদেশে চাকরি করছে! তারা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় বড় বড় প্রকল্পসমূহ বিদেশি ইঞ্জিনিয়াররা নির্মাণ করছে। আর আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়াররা সেগুলো মুখস্ত করে বিসিএস ক্যাডার হবার অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে! এ দৃশ্যই বলে দেয় যে, বাংলাদেশের শিক্ষার মান তলানিতেই রয়ে গেছে। এসব কারণে আমরা জাতি হিসেবে ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। দেশের জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত শিক্ষা ও সেবা দিতে না পারা জাতীয় সমস্যারই অন্তর্ভুক্ত বলে এ পরিষদ মনে করে।
এসব সমস্যার সমাধানে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও মাঠ পর্যায়ে তার কোনো কার্যকারিতা দেখা যায় না। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো দেশে সামাজিক শিক্ষার অনুপস্থিতি। আর সামাজিক শিক্ষা অনেকাংশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এমতাবস্থায়, এ পরিষদ মনে করে, শিক্ষার যথাযথ মান সৃষ্টিতে সামাজিক শিক্ষা এবং সামাজিক পরিবেশ গড়ে তোলা একান্ত অপরিহার্য। এ পরিষদ আরো মনে করে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উন্নতি চাইলে সামাজিক শিক্ষা ও সেবার মানকে উন্নত করতে হবে। আর এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক শিক্ষাসেবা ও পরিবেশকে উন্নতি করতে হলে সমাজ থেকে সুস্থ চিন্তার অধিকারী, মননশীল এবং নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। দেশের সকল প্রান্তে এজাতীয় মানুষের অভাব নেই। এ পরিষদ তাই এ জাতীয় মানুষদের খুঁজে বের করে এ আন্দোলনে শরীক করবে।
‘জাতীয় শিক্ষা সেবা পরিষদ’ সমাজের ভালো লোকদের একত্রিত করবে। এলাকাভিত্তিক ‘শিক্ষা-সেবা সমাজ’ তৈরি করবে। সমাজের কাউন্সিলরদের সমাজ উন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে। দলমত নির্বিশেষে এ পরিষদ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করবে এবং শিক্ষা ও সেবা কার্যক্রমকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেবে।
এ প্ল্যাটফর্ম সরকারের শিক্ষা ও সমাজসেবা নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করবে। সরকারের শিক্ষানীতির সমস্যা চিহ্নিত করবে ও কর্মকৌশল নির্ধারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এ পরিষদ সামাজিক শিক্ষা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নানা কর্মসূচি হাতে নেবে। এ উপলক্ষে এ পরিষদ সাধারণ মানুষকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেবে। ধর্মীয় এবং জীবনমুখী প্রশিক্ষণের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
প্রতিটি এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে এ পরিষদ অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষকে সুশিক্ষা দেবে। তাদের শিক্ষা-সচেতন জনগোষ্ঠি হিসেবে গড়ে তুলবে। এভাবে সামাজিক শিক্ষাবলয় গড়ে তুলতে এ পরিষদ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। আর এ শিক্ষাবলয়ের মাধ্যমে সমাজিক শিক্ষার উন্নতি হবে। আর সামাজিক শিক্ষার উন্নতি ঘটলে সামাজিক অপরাধ অনেকাংশেই কমে আসবে। রাজনৈতিক সংঘাত ও অপচিন্তা অনেকটাই হ্রাস পাবে। উল্লেখিত বিষয়াবলী স্টাডি করলে বুঝা যায়, এ পরিষদের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলো হলো: (১) দেশে জাতীয় মূল্যবোধসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করা; (২) স্কুল-মাদরাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নির্বিশেষে প্রতিটি পর্যায়ে গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা; (৩) ব্যবসায়, কারিগরি, বিজ্ঞানমুখী, আধুনিক তথা সমন্বিত শিক্ষার ব্যবস্থার প্রচলন করা; (৪) জীবনমুখী শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা ও মানবিক গুণাবলি-সঞ্চারক শিক্ষা চালু করা; (৫) সমাজের প্রত্যেকের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ব্যষ্টিক উন্নয়নের একটি টেকসই অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করা; (৬) মানবকল্যাণমুখী অর্থনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠা করা; (৭) সমাজে দরিদ্র-দুস্থ-অসহায় এবং আর্ত-পীড়িতদের আর্থিক সহায়তা করা; (৮) প্রান্তিক জনগোষ্ঠির আয়রোজগার বৃদ্ধিতে সক্ষম সম্পদ গড়তে সুদমুক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান; (৯) শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম ও দেশসেবার মনোভাব জাগ্রত করা; (১০) শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মননে ধর্মীয় মূল্যবোধ, মানবতাবোধ, সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলী জাগ্রত করা; (১১) সাধারণ মানুষের জন্য জাতীয়ভাবে গণশিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক সামাজিক শিক্ষা এবং জীবনমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; (১২) জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নমুখী শিক্ষা, সমাজ উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ, সফ্টস্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ও স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা; (১৩) শিক্ষা ও সেবার মানোন্নয়নে এবং মানবিক গুণাবলী-সঞ্চারক শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরকার ও অন্য যে কোনো পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করা; (১৪) শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণা এবং শিক্ষা ও সমাজ-উন্নয়ন মূল্যায়ন প্রজেক্ট পরিচালনা করা ও (১৫) শিক্ষা-সেবা সমাজ তৈরি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।
একথা সত্য যে, সৎ বিবেকবান ও সমাজদরদী মানুষের সংখ্যা সমাজে এখন অনেক কম। তথাপিও এমন মানুষ এখনও সমাজে নিভৃতচারী হিসেবে বেঁচে আছেন। এখন প্রয়োজন এ ধরনের সমাজ ও মানব-কল্যাণকামী মানুষকে একত্র করা। তাদের নিয়ে এ পরিষদ দেশব্যাপী এলাকাভিত্তিক সমাজ তৈরি করবে, যার নাম হবে ‘শিক্ষা-সেবা সমাজ’। তাদের বেছে আলাদা করে পরিবেশ দিয়ে কাজে লাগানো এ পরিষদের অন্যতম লক্ষ্য। ‘শিক্ষা-সেবা সমাজ’ একটি স্বশাসিত, অরাজনৈতিক, অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী, সেবাদানকারী সমাজ-সংগঠন হিসেবে কাজ করবে। এর প্রত্যেক সদস্য জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অহিংস মনোভাবে বিশ্বাসী হবেন। সমাজসেবার মাধ্যমে ত্যাগের মহিমায় তারা মর্যাদাপ্রাপ্ত হবেন। শিক্ষা-সেবা সমাজের সব কার্যক্রম ক্ষমতাভিত্তিক ও কর্তৃত্ববাদী না হয়ে পরামর্শমূলক হবে।
সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ হবে এ শিক্ষা পরিষদের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। সাধারণ মানুষের প্রত্যেককে সামাজিক শিক্ষার মাধ্যমে সুস্থ চিন্তাধারায় বিকশিত করাও এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের সমন্বয়ে শিক্ষার জন্য ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তোলাও এ পরিষদের অন্যতম একটি বিশেষ কাজ। প্রতিটি পক্ষকেই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলা। বিশেষভাবে অভিভাবকমহলে সন্তানদের ব্যাপারে শিক্ষা ও শিক্ষার মান নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো। তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে উচ্চশিক্ষা বা টেকনিক্যাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বলা। স্কুল-মাদরাসাগুলোকে ‘ফুল-টাইম স্কুলিং’ ব্যবস্থার দিকে ক্রমে নিয়ে যাওয়া। ছাত্রছাত্রীদের স্কুল-মাদরাসা থেকে ঝরে পড়া বন্ধ করা। স্কুল-মাদরাসার অবকাঠামো ব্যবহার করে অভিভাবকদের ও সাধারণ মানুষের জন্য সাধারণ ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা। তাদের সুপ্রশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত করা। গরিব, নিঃস্ব, পীড়িত, অসহায় ও মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আর্ত-মানবতার সেবায় আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা। নি¤œবিত্ত জনগোষ্ঠির ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে সুদবিহীন স্বল্প কিস্তিভিত্তিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। ব্যক্তির আয় সৃষ্টিকারী সম্পদ তৈরি করে দেওয়া। আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে মানুষকে কর্মমুখী করে গড়ে তোলা।
‘শিক্ষা-সেবা সমাজ’ সমাজের সচ্ছল সদস্যদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করে তাদের দিয়ে এক বা একাধিক কৃষিভিত্তিক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করার পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে। নানা ধরনের মাদক সমাজকে আজ মারাত্মকভাবে গ্রাস করেছে। টিনএজারদের মধ্যে এর ব্যাপকতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ‘শিক্ষা-সেবা সমাজ’ শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে এ বিষয়ে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।
কাউন্সিলরদের দায়িত্ব হচ্ছে, তাদের আওতাধীন বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসায় নিয়মিত যাওয়া। প্রতিটি কাউন্সিলর সেখানে কর্মরত মৌলভি-মাওলানাদের সঙ্গে সমাজ উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। স্থানীয় সব মাদরাসায় জীবনমুখী, কর্মমুখী ও জীবনের উদ্দেশ্যভিত্তিক শিক্ষা চালু করার জন্য অনুরোধ করবেন। দেশের প্রতিটি মসজিদেই ইমামগণ বাংলাতে খুৎবা দিয়ে থাকেন। কাউন্সিলররা প্রতিটি মসজিদের ইমামকে নি¤েœাক্ত বিষয়ে খুৎবা দিতে অনুরোধ করবেন: ‘মুসলমানের বৈশিষ্ট্য কী হওয়া উচিত, প্রতিহিংসার পরিণতি, অজ্ঞতার পরিণতি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান শেখার গুরুত্ব, পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব, মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য, প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব, গরিব-দুঃখীকে দানের সওয়াব, সমাজসেবা সম্বন্ধে কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা, সমাজসেবকের ইহকাল ও পরকালের প্রাপ্তি ও দুনিয়ার সব ন্যায়-কাজ ও পেশাগত সব কাজ’ ইত্যাদি। এসব বিষয়াবলী যে ইবাদতের অংশ সে বিষয়ে হৃদয়গ্রাহী করে বক্তৃতা দিতে ইমামগণকে এ পরিষদের কাউন্সিলরগণ উৎসাহিত করবেন।
‘শিক্ষা-সেবা সমাজ’ ও ‘জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদ’ একটা পথ (অ্যাপ্রোচ) ও উন্নয়ন পদ্ধতি। এর কর্মকা- একটা জাতির লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায়। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সবাইকে জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
লেখক : অধ্যাপক, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।