Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যুদ্ধের এক বছর পূর্তি, ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:০৬ পিএম

আগামীকাল শুক্রবার এক বছর অতিক্রম করবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের বর্ষপূর্তির ঠিক আগে, বৃহস্পতিবার পরমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি জানান, পারমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়ানোর জন্য আরও ব্যয়বরাদ্দ করতে চলেছে তার প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন সফরের পরই সে দেশের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কিত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানিয়েছিলেন পুতিন।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে অভিয়ান শুরু করেন। ধীরে ধীরে এই বিশেষ সামরিক অভিযান পূর্ণ রূপ ধারণ করে। পুতিন জানান, তিনি ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চলের রুশপন্থি নাগরিকদের গণহত্যার কবল থেকে বাঁচাচ্ছেন। অভিয়ানের শুরুতে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরেই রাশিয়া শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিক থেকে রুশ বাহিনী দেশে প্রবেশ করে এবং পূর্ণমাত্রায় আক্রমণে রূপ নেয়। যুদ্ধে উস্কানি দেয়া ও হস্তক্ষেপ করা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। তারা রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

প্রথমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে সম্মতি দেয়। যার পরপরই বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তার গ্রিনলাইট দেয় যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের দক্ষিণ উপকূলে দ্রুত সাফল্য অর্জন করতে থাকে। রাতারাতিই খেরসন, কৃষ্ণ সাগর বন্দর, রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের নিকটবর্তী অঞ্চলসহ আজভ সাগরের বার্দিয়ানস্ক বন্দর দখল করে ফেলে। মস্কোর সৈন্যরাও কিয়েভকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে করে ভারী বোমাবর্ষণ। এরপর গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরোজিয়া অঞ্চল মুক্ত করে রুশ সেনা। এসব অঞ্চলের আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূমির প্রায় ১৫ শতাংশ। পরে এক গণভোটের মাধ্যমে এ চারটি এলাকা বৈধভাবে নিজেদের অংশ করে নেয় রাশিয়া। কিন্তু ওই গণভোটকে কিয়েভসহ পশ্চিমারা স্বীকৃতি দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা রুশ বাহিনীর দখলে আছে। তবে গত দু-এক মাসের পরিস্থিতি বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো পক্ষই বড় কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। ইউক্রেনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে দেশটির বিভিন্ন শহরের বিদ্যুৎসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। রুশ হামলা প্রতিরোধে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ট্যাংকসহ অন্যান্য সমরাস্ত্রের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ইউক্রেন। এগুলো দ্রুত কিয়েভকে সরবরাহ করতে আহ্বান জানাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ