Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত’

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রামে সীমান্ত সম্মেলন শুরু
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নিরাপত্তা জোরদারে সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণ, সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও সংঘর্ষ পরিহারসহ ১০টিরও বেশি আলোচ্যসূচি নিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে দুই দিনের বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা প্রতিনিধিদের (ডিসি-ডিএম) দ্বি-পাক্ষিক সম্মেলন।
গতকাল (বুধবার) সকালে নগরীর মোটেল সৈকতে এই সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও ভারতের পক্ষে দলনেতা হিসেবে আছেন উনাকটি জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি আর ভট্টচার্য।
সম্মেলনে উভয় দেশের তিনটি করে মোট ছয়টি সীমান্তবর্তী জেলার প্রশাসক, বিজিবি প্রতিনিধি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। উভয় দেশের এই ছয়টি সীমান্তবর্তী জেলা হল বাংলাদেশের-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও মৌলভীবাজার এবং ভারতের উনাকাটি, ধলাই ও উত্তর ত্রিপুরা।
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো: রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সীমান্তে যে সমস্যাগুলো আমরা সম্মুখিন হই, সেগুলোর সমাধানে পথ খুঁজে বের করায় আলোচনার লক্ষ্য। আশা করি, আমরা দ্বি-পাক্ষিক সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের একটা পথ খুঁজে বের করে নিতে পারব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সোমনাথ হালদার। সোমনাথ হালদার বলেন, পাশাপাশি দু’টি বাড়ির মধ্যে সবসময় ভালো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে, তবে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে গেলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো উন্নয়ন করার সুযোগ আছে। ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আসছে। বাংলাদেশ থেকে লোহা ও খাবার যাচ্ছে। এটা বড় ব্যাপার। আমাদের সম্পর্ক আরো বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের ছিটমহল সমস্যা সমাধান হয়েছে। কথাবার্তা চালিয়ে গেলে বিদ্যমান সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এ কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো দৃঢ়তর হবে। অনুপ্রবেশ ঠেকানো, নারী-শিশু ও মাদক পাচার বন্ধ, সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফর যৌথ টহল, সীমান্ত নিরাপত্তায় সড়ক ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ, যৌথ ভূমি জরিপ, অপ্রয়োজনীয় গুলিবর্ষণ এড়ানোসহ বেশ কিছু অ্যাজেন্ডা সম্মেলনে আলোচ্য সূচির অন্তর্ভূক্ত আছে।
এ ছাড়াও সীমান্ত হাট সম্প্রসারণ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ কমানোও বিষয়ে সম্মেলনে আলোচনায় অন্তর্ভূক্ত থাকবে। সম্মেলনে অন্যান্যদের অংশ নেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট জেলা সমূহের বিজিবি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় মোটেল সৈকতে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ