পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। এ গানটি আমাদের ভাষা শহিদদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের অহংকার, একুশে ফেব্রুয়ারি মানে বাঙালি জাতি সত্ত্বার পরিচয়। বিশ্বে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দেয়ার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে একমাত্র বাঙালিরা। ভাষা আন্দোলনে শহিদ হওয়া সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কারণে আজ আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি। মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। মাতৃভাষায় কথা বলতে পারার মধ্যে যে আনন্দ ও সুখ নিহিত রয়েছে তা আর কোনো ভাষার মধ্যে নেই। মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা, এই ভাষাতে মনের ভাব প্রাঞ্জলভাবে প্রকাশ করা যায় পূর্বপাকিস্তানের মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে যখন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে উর্দুই হবে একমাত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তখন পূর্ব বাংলার বাংলাভাষা-ভাষী জনসাধারণ তার ঘোর বিরোধিতা করে। তখন আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ভাষার দাবিতে, যেখানে মিলিত হয় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য তখন ছাত্র সমাজ ১৪৪ দ্বারা ভঙ্গ করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লে পুলিশের গুলিতে রফিক, সালাম, বরকত, শফিক, জব্বারসহ অনেকের বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে রচিত হয় এক রক্তাক্ত অধ্যায়। যার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আমাদের মাতৃভাষা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনই বাংলার ইতিহাসে পূর্ব-পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে ছিল প্রথম সফল বিদ্রোহ, যার ফলে পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। তাই এই ভাষা শুদ্ধভাবে বলা, সম্মান করা, ভাষাকে ব্যঙ্গ না করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। এতে তরুণদের ভূমিকাই মুখ্য। তরুণ প্রজন্ম সুন্দর শুদ্ধ করে ভাষা প্রয়োগে ভূমিকা রাখবে, এটাই প্রত্যাশা।
এসএম মাঈন উদ্দীন রুবেল
চট্টগ্রাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।