পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশি বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের মধ্য দিয়ে ইরান ইসলামের মর্যাদা সারা বিশ্বের সামনে সমুন্নত রেখেছে এবং সমগ্র বিশ্বের সকল মুসলিম জাতির জন্য ইসলামকে তাদের মুক্তির বার্তাবাহক হিসেবে উপস্থাপন করেছে। অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এন এম মেশকাত উদ্দিন বলেন, ইরানের ঐতিহাসিক বিপ্লবের ৪ দশকের সাফল্য আজ বিশ্বের সকল মুসলিম ও স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য একটি রোল মডেল।
আজ শনিবার রাজধানীতে এক সেমিনারে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ৪৪ তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানসুর চাভূশি বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লব ইরানি জাতির জন্য ফিরিয়ে আনে প্রকৃত স্বাধীনতা, সম্মান ও উন্নয়নের বিরতিহীন অগ্রযাত্রার সেই গৌরবের ধারা। কঠিন অবরোধের মধ্যেও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশটি। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে শক্তিশালী অবস্থান বলে দিচ্ছে দেশটি কতটা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন নেতৃস্থানীয় দেশের তালিকায় রয়েছে ইরান।
তিনি বলেন, আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বর্তমানে ইরানের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ন্যানো প্রযুক্তিতে দেশটির অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজ শিল্পে ষষ্ঠ, অ্যারোস্পেস, সামরিক ও বেসামরিক বিমান শিল্প, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ সংক্রান্ত প্রযুক্তিতে অষ্টম, চিকিৎসা খাতে দশম, কৃষিতে দশম, খেলাধুলায় ১৩তম এবং শিল্প খাতে ইরানের অবস্থান বিশ্বে ১৯তম।
অনুষ্ঠানে গাওসিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মুহাম্মদ ইজহারুল হক বলেন, ইসলাম ধর্মের ওপর ভিত্তি করে ইরানের ইসলামী বিপ্লব একটি নতুন বুদ্ধিবৃত্তিক, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাধারার উদ্ভব ঘটিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে, ইসলাম ও কুরআন ভিত্তিক শাসন ব্যাবস্থাই পারে বিশ্বকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদী বলেন, পশ্চিমাদের শত বাধা সত্বেও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। কারণ এই বিপ্লবের মূল ভিত্তি ছিলো ইসলাম এবং কোরআন, যার আবেদন অবিনশ্বর। দ্বিতীয়ত এই বিপ্লব ছিলো জনতার ও গণমানুষের বিপ্লব। তারা স্বেচ্ছায় এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলো। আর তাই এতো বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও এই বিপ্লবের আবেদন আজো সমগ্র বিশ্বে এতটুকুও কমে নি, বরং আজও তা অত্যন্ত সতেজ ও জীবন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।