Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশে কর্মী প্রেরণে রেকর্ড

এক বছরে প্রায় ১১ লাখ কর্মী গেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব রয়েছে : সউদী রাষ্ট্রদূত

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

দেশে ডলার সঙ্কটের মধ্যে বিদেশে জনশক্তি রফতানির পালে নতুন হাওয়া লেগেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অস্থিতিশীল বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যেই গত এক বছরে জনশক্তি রফতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ৯ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গত জানুয়ারি থেকে গত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ (১০ লাখ ৮৩ হাজার) নারী-পুরুষ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জনশক্তি রফতানিকারকরা আশা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বেশি অভিবাসী শ্রমিক নেয়ার দেশ সউদী আরবের নিয়োগকর্তারা অভিবাসী কর্মী আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ও শর্তহীনভাবে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ফলে জনশক্তি রফতানির সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী-পুরুষ কর্মী সউদীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৩ সালে জনশক্তি রফতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে মনে করছেন জনশক্তি রফতানিকারকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে এখনও ডলারের সঙ্কট না কাটলেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স খাতে গতি ফিরেছে। ব্যাংকগুলোর প্রতি প্রবাসী শ্রমিকদের আস্থাহীনতার মধ্যেই ডিসেম্বর মাসের প্রথম ৯ দিনে তারা প্রায় ৫৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ হিসাবে প্রতিদিন এসেছে গড়ে ৬ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো প্রায় ৩৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর চলতি বছর দেশটিতে সরকারিভাবে কর্মী যাওয়া শুরু হওয়ায় জনশক্তি রফতানির গতি বাড়ছে। দেশটিতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার কর্মী চাকরি নিয়ে গেছে। এসব কর্মীদের অনেকেই দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করেছে। বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মেসার্স কিউ কে কুইক এক্সপ্রেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরুন ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম (রবিন) গতকাল শুক্রবার ইনকিলাবকে বলেন, মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৩০০ কর্মী নিয়োগের কলিং পাওয়া গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে রবিন বলেন, আসন্ন জানুয়ারি মাস থেকে মালয়েশিয়া থেকে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগের কলিং আসা শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি কর্মীর নিয়োগের বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রম আরো দ্রুত ও সহজীকরণের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় দেশটির শ্রমবাজার হাত ছাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিএমইটির সূত্র মতে, গত জানুয়ারি থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৫ জন নারী-পুরুষ কর্মী চাকরি লাভ করেছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো প্রায় ১০ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনশক্তি রফতানির সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১১ লাখে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি রফতানি হচ্ছে ভ্রাতৃপ্রতীম সউদী আরবে। করোনা মহামারির পর পর বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রফতানি শুরু না হলেও সউদী নিয়োগকারীরা একমাত্র বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ নারী-পুরুষ কর্মী নেয়া শুরু করে। চলতি বছরের মাত্র ছয় মাসেই সউদী নিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫ লাখ কর্মী নিয়েছে।

ইতোপূর্বে ঢাকাস্থ সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগামী কয়েক বছরে সউদী আরবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। এরই মধ্যে আরামকো, একুয়া পাওয়া, রেড সি গেটের মতো শীর্ষস্থানীয় সউদী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ শুরু করছে। সউদী আরবে বাংলাদেশ থেকে আগের চেয়ে বেশি কর্মী যাচ্ছেন। ওই সময়ে দূতাবাস থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ হাজার ভিসা ইস্যু করা হতো। এক প্রশ্নের জবাবে সউদী রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে সউদী সহায়তা কমেনি। সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে সউদী আরব। প্রতিবছর এ সহায়তা বাড়ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সউদী আরবের দীর্ঘমেয়াদি ও শর্তহীন বন্ধুত্ব রয়েছে।

জানা গেছে, গত ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বিদেশগামী কর্মীরা জনপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কল্যাণ তহবিলে ৩শ’ ৭৫ কোটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়েছেন। এছাড়া তারা সরকারি ভর্তুকিসহ ৯৯০ টাকা করে বীমা প্রিমিয়ার বাবদ ১শ’ ৬ কোটি ৩১ লাখ ৬ হাজার ৫৫০টাকা পরিশোধ করে বিদেশে গিয়েছেন। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ডিজি মো. হামিদুর রহমান ইনকিলাবকে জানান, সরকার প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সেবা এবং তাদের পরিবারের সহায়তায় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কার্যক্রম ও সেবাসমূহ ডিজিটাইজড করা হয়েছে। এর ফলে দ্রুত সেবা প্রদান এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বোর্ডের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে। প্রবাসী কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে প্রবাসী কর্মী বীমা প্রকল্প চালু করেছে। শর্ত অনুযায়ী বিদেশগামী কর্মীর কাছ থেকে ৪৯০ টাকা এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল থেকে জনপ্রতি ভর্তুকি হিসেবে ৫০০ টাকা দিয়ে ৯৯০ টাকা বীমা প্রিমিয়ার বাবদ জমা দিয়েছেন।

বিএমইটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সউদীতে গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৪ জন নারী-পুরুষ কর্মী চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে দেশটিতে শুধু নারী গৃহকর্মী চাকরি পেয়েছেন ৬১ হাজার ১১১ জন। এসমেয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাকরি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ১০৮ জন, ওমানে গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮১ জন, সিঙ্গাপুরে গেছে ৫৩ হাজার ৬৯৫ জন, কাতারে গেছেন ১৯ হাজার ৭৫৫ জন, কুয়েতে ১৫ হাজার ৭২০ জন এবং জর্ডানে ১১ হাজার ৯১৫ চাকরি পেয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিন গড়ে এসেছিল ৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। আগের দুই মাস অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন এসেছিল যথাক্রমে ৪ কোটি ৯২ লাখ ও ৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে প্রতিদিন প্রায় ৭ কোটি ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি ডিসেম্বর মাসের নয় দিনের (১ থেকে ৯ ডিসেম্বর) রেমিট্যান্সের তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, এই নয় দিনে ৫৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ডিসেম্বরে রেমিট্যান্সের গতি ইতিবাচক হওয়ায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধে আরো কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ মহল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৮৭৯ কোটি ৩১ লাখ (৮.৭৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালের এই পাঁচ মাসে ৮ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯১ সাল থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সউদীতে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৩৮ জন নারী গৃহকর্মী চাকরি লাভ করেছে। তবে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকার উগান্ডা, ঘানা থেকে মহিলা গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়ায় এবং বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতার দরুণ ইদানিং নারী গৃহকর্মী নিয়োগের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। বায়রার নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিএমইটির ডিজি মো. শহীদুল আলম অতিসম্প্রতি বিনা নোটিশে মধ্যপ্রাচ্যগামী নারী গৃহকর্মীদের এক মাসের প্রশিক্ষণের পরিবর্তে ২মাস নির্ধারণ করায় সউদীগামী নারী গৃহকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এতে সউদীগামী নারী-পুরুষ কর্মীর বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দুই মাসের প্রশিক্ষণের নির্দেশনা জারি করায় দেশের টিটিসিগুলোতে বিদেশগামী নারী-পুরুষ কর্মীরা ভর্তিতে অনীহা প্রকাশ করছে। বায়রার সাবেক ইসির অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ আলী এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে ইনকিলাবকে বলেন, সউদী শ্রম মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে নারী-পুরুষ কর্মী নিয়োগে ধীরগতির দরুণ চরমভাবে ক্ষুদ্ধ সউদী শ্রম মন্ত্রণালয় কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণের লক্ষ্যে গত ৫ ডিসেম্বর এক সার্কুলারের মাধ্যমে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১২০ দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে কর্মী নিয়োগের মুসানেদের চুক্তি বাতিল করলে ৫% থেকে ২০% জরিমানা আদায় করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এতে দুই মাসের মধ্যে কর্মী প্রেরণ সম্ভব না হলে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বায়রার সাবেক নেতা বিদেশগামী কর্মীদের বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য বায়রার সাথে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

২০২১ সালে বিভিন্ন দেশে চাকরি লাভ করেছে ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন। এর মধ্যে শুধু সউদী আরবেই চাকরি লাভ করেছে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জন নারী-পুরুষ। দেশটি থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণও বাড়ছে।
এদিকে, নারী জনশক্তি রফতানিও আগের বছরগুলোর চেয়ে বেড়েছে। ২০২১ সালে ৮০ হাজার ১৪৩ নারী কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন। ২০১৯ সালে মহামারী করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। মহামারীর আগের বছর ২০১৯ সালে ৭ লাখ ১৫৯ জন কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। করোনার ধাক্কায় ২০২০ সালে তা ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে নেমে আসে। তবে ২০২১ সালে ধীরে ধীরে তা আবার আলোর মুখ দেখতে শুরু করে; যা বছরজুড়েই গতিতে ছিল। তবে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিফিউজি এ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্স ইউনিটের (রামরু) তথ্য মতে, গত বছর যেসব কর্মী বিদেশে গেছেন, তাদের ৭৪ শতাংশই অদক্ষ। আর ৩ দশমিক ৬ শতাংশ আধাদক্ষ। আর দক্ষ কর্মীর সংখ্যা ছিল ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মেসার্স কিউ কে কুইক এক্সপ্রেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরুন ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম (রবিন) গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। গত এক সপ্তাহে তিনশ’ কর্মী নিয়োগের কলিং পাওয়া গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে রবিন বলেন, আসন্ন জানুয়ারি মাস থেকে মালয়েশিয়া থেকে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগের কলিং আসা শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি কর্মীর নিয়োগের বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রম আরো দ্রুত ও সহজীকরণের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় দেশটির শ্রমবাজার হাত ছাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।



 

Show all comments
  • Mohd Saiful Zamil ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫১ এএম says : 0
    ১১ লাখ কর্মী আসছে ঠিকআছে কিন্তু বিপাকে আছে প্রায় ৯ লাখ কারণ ২ দেশ মিলে শুধু লোক পাঠানোর ব্যাবস্হা করছে কিন্তু থাকা খানা ইকামা চাকরী সুযোগ সুবিধা এগুলোর ব্যাবস্হা করতে পারেনি
    Total Reply(0) Reply
  • Nimon Khan ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫২ এএম says : 0
    Onek taka income hoise aponader apnera tader k shromic mone koren na dash mone koren
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Baker Siddiqui ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫২ এএম says : 0
    Excellent news really for Bangladesh people
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃআজগার হোসেন মুন্না ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৩ এএম says : 0
    যতই শ্রমিক রপ্তানি করুক বাংলাদেশ রেমিটেশ আর বাড়বে না বাংলাদেশের যতদিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে প্রবাসীরা ব্যাংকে টাকা দিচ্ছে না
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Joarder ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৩ এএম says : 0
    বর্তমানে সৌদি আরবের ডিগ্রি পাস ছেলেরা যদি আসতো তাহলে মাসে তিন লাখ টাকা ইনকাম করার মত পরিবেশ থাকতো যারা আসে সকলেই লেখাপড়া না জানা যার ফলে নিম্ন শ্রেণীর কাজ করা জন্য বাধ্য থাকে যেটা পাশের দেশ ইন্ডিয়া পাকিস্তান এ লাবণ টা হয়ে যাচ্ছে যেটা বাংলাদেশ পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Joarder ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৪ এএম says : 0
    যেকোনো ভাবে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষিত ছেলেদেরকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে তাহলে বাংলাদেশের আরো উন্নতি হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ayatulla Islam ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৪ এএম says : 0
    কি যে অবস্থা আছে বিদেশি ভাইয়ারা আমরা জানি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ