Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে: আতিক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১১ পিএম

কবর দেওয়ার জন্য নয়, কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন কবরস্থানে কবর দেওয়ার ফি বাড়ানো হয়নি। কবর সংরক্ষণের জন্য ফি বাড়ানো হয়েছে। কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই মূলত সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক আবেদন আসে কবর সংরক্ষণের জন্য। এভাবে কবর সংরক্ষণ করা হলে কবর দেওয়ার জায়গা কমে যাবে। আশা করছি, ফি বৃদ্ধির কারণে কবর সংরক্ষণের আবেদন অনেক কমবে এবং সাধারণ মানুষ কবর দেওয়ার সুযোগ পাবে।’

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ডিএনসিসির উন্নয়নকৃত উত্তরা ৪নং সেক্টর কবরস্থান উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসির কবরস্থানে নগরের বাসিন্দারা সীমিত ফিতে দাফনের সুযোগ পাচ্ছে উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানে প্রতিটি মৃতদেহ দাফন বাবদ রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র ৫০ টাকা। দুস্থ, অসহায় মৃত ব্যক্তির দাফনের ফি মাত্র ১০০ টাকা। কেউ যদি ১০০ টাকাও পরিশোধ করতে অপারগ হন, তার জন্য বিনামূল্যে দাফনের সুযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা মেইনটেন্সের জন্য সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনগণকে, কমিউনিটিকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকাবাসী ও সোসাইটির নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের স্থাপনা, ফুটপাত, মাঠ, পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নির্মাণকাজের জন্য গাছ কাটা যাবে না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি গাছ না কেটে কাজ শেষ করতে। আমরা সাধারণত একটি গাছ কেটে তিনটি গাছ লাগানোর কথা বলি। কিন্তু এখন বলছি গাছ না কেটেই তিনটি গাছ লাগাবেন।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘মহামারি করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত, তখনও আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সীমিত সম্পদের মধ্যে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১৮টি নতুন ওয়ার্ডেও আমরা উন্নয়নকাজ শুরু করেছি। নতুন এলাকায় সবকিছু মাস্টারপ্ল্যান করে চার হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি। অনেক বড় প্রকল্প তাই একটু সময় লাগছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সময় নিয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ এসময় ডিএনসিসির আওতাধীন কবরগুলোর ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা দেন মেয়র।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেয়র আতিক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ