Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশের কাছে ১০ হাজার তাঁবু চেয়েছে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:০৬ এএম | আপডেট : ৪:৩৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক বাংলাদেশের কাছে ১০ হাজার তাঁবু চেয়েছে। ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়া তুরস্কের লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে শীতের মধ্যে রাত কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় জরুরি সহায়তা হিসেবে দেশটি বাংলাদেশের কাছে বাড়তি ১০ হাজার তাঁবু চেয়েছে।

আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে গতকাল তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সহায়তা চেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা। দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের পরপরই বাংলাদেশ দেশটিতে ২০০০ হাজার তাঁবু, কয়েক হাজার কম্বল, শুকনা খাবার এবং ওষুধ, মেডিকেল টিমসহ ৬১ সদস্যের উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। নতুন করে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের কাছে আরও ১০ হাজার তাঁবু চাওয়ার পর বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলে অবহিত করা হয়েছে।

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চাইলেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত: এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভূমিকম্পে পর্যুদস্ত দেশটির সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ চেয়েছেন। তবে তিনি সাফ জানান, তার দেশ নগদ কোনো অর্থ সহায়তা গ্রহণ করবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্ট মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দূতাবাস ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ভূমিকম্পে ছয় হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আমরা বাংলাদেশের সহায়তা চাই।

দেশটির ১০টি প্রদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে শোক পালন করেছে। একদিন দেশটির পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে, এতে আমরা বাংলাদেশের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে সহায়তাসামগ্রী নিতে চাই। আমাদের শীতের কাপড়, ওষুধ, শুকনা খাবার ইত্যাদি সহায়তা দিতে পারেন। ঢাকার টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিস এসব সহায়তা গ্রহণ করবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। কোনো নগদ অর্থসহায়তা নেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, টিকা অফিসের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তাছাড়া অর্থ পাঠাতে জটিলতা তৈরি হয়। এ কারণে তারা নগদ অর্থ নয়, সহায়তা হিসেবে ত্রাণ গ্রহণ করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। বলেন, আমরা এ দুর্যোগ একা মোকাবিলা করতে পারবো না। আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তা চাচ্ছি। খুব কম দেশ তুরস্কের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানসহ বিশ্বের  ছড়িয়ে থাকা সকল দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। কসভো এবং আজারবাইজানও শোক পালন করেছে।

ত্রাণ হিসেবে কি ধরনের সহায়তা চাইছেন? জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা শীতের কাপড় চাইছি। কারণ অঞ্চলটিতে বেশ শীত এ মুহূর্তে। আমরা ওষুধ, শুকনো খাবার, জেনারেটর, পাওয়ার ব্যাংক ধরনের ত্রাণ চাইছি। আমাদের চাহিদার তালিকাটি দূতাবাসের ওয়েবসাইট এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় দাতা সংস্থা টিকার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত দেয়া রয়েছে।

তিনি বলেন, সিলেট থেকে খুলনা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ আমাদের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছেন। আমাদের যে সহযোগিতা করা হবে, তার কাস্টম্স ছাড় দেয়ার ব্যবস্থা সরকার থেকে করা হয়েছে। ডলার সংকটের কারণেই কি বাংলাদেশ থেকে নগদ সহায়তা এড়িয়েছে তুরস্ক? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসলে কত নগদ সহায়তা আসবে, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাধারণ মানুষ ১০ লাখ ডলারের ওপর সহায়তা দেয়। বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ নগদ সহায়তা দেয়, সেটি দিয়ে আমরা এখানে প্রয়োজনীয় ত্রাণ কিনেই তুরস্কে পাঠাবো। ফলে ত্রাণ দিলেই আমাদের জন্য সুবিধা।

এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাওয়া খবরে ১২ হাজার ৩৯১ জন তুরস্কের নাগরিক নিহত এবং ৬২ হাজার ৯১৪ জন আহত হয়েছেন। আর ৬ হাজার ৬৪০টি ভবন ভেঙে পড়েছে। দিন-রাত উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহত বা আহতের কোনো খবর এখনও পাইনি। যদি ভূমিকম্পটি গ্রীষ্মকালে হতো, তাহলে অনেক বিদেশি নাগরিক এখানে থাকতেন। এখন যেহেতু শীতকাল, ফলে সেখানে বিদেশিদের সংখ্যা কম। কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেছেনÑ তাদের মধ্যে একজন তুরস্কের ভাষায় পারদর্শী। ফলে তিনি বাংলাদেশিদের উদ্ধার অভিযানে উদ্ধারকারী দলকে তিনি সহযোগিতা করেছেন।

গত সোমবার ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংযজ্ঞ হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক লাশ বেরিয়ে আসছে। এদিকে আরও ভূমিকম্পের ভয়ে বাসায় ফিরছেন না লোকজন। লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘরবাড়ি হারানো মানুষের জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা পৌঁছানো এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।

ভূমিকম্পে তুরস্কের ঢাকায় দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক  নিখোঁজ: ওদিকে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান জানান, ভূমিকম্পে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার পর তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক নিখোঁজ রয়েছেন। তার এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আনাতোলিয়ায় এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ বলে জানান রাষ্ট্রদূত। বলেন, তিনি সেখানে তুরস্কের পররাষ্ট্র দপ্তরের আঞ্চলিক অফিসে দায়িত্ব পালন করতেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫  থেকে ২০১৯ সালে ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হিসেবে  দায়িত্ব পালন করেন ডেভরিম ওজতুর্ক। তিনি ঢাকা থেকে বিদায় নেয়ার পর আসেন মুস্তাফা ওসমান তুরান।

বাংলাদেশের কাছে ১০ হাজার তাঁবু চেয়েছে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক
ইনকিলাব ডেস্ক
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক বাংলাদেশের কাছে ১০ হাজার তাঁবু চেয়েছে। ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়া তুরস্কের লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে শীতের মধ্যে রাত কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় জরুরি সহায়তা হিসেবে দেশটি বাংলাদেশের কাছে বাড়তি ১০ হাজার তাঁবু চেয়েছে।
আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে গতকাল তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সহায়তা চেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা। দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের পরপরই বাংলাদেশ দেশটিতে ২০০০ হাজার তাঁবু, কয়েক হাজার কম্বল, শুকনা খাবার এবং ওষুধ, মেডিকেল টিমসহ ৬১ সদস্যের উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। নতুন করে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের কাছে আরও ১০ হাজার তাঁবু চাওয়ার পর বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলে অবহিত করা হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চাইলেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত: এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভূমিকম্পে পর্যুদস্ত দেশটির সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ চেয়েছেন। তবে তিনি সাফ জানান, তার দেশ নগদ কোনো অর্থ সহায়তা গ্রহণ করবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্ট মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দূতাবাস ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ভূমিকম্পে ছয় হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আমরা বাংলাদেশের সহায়তা চাই।
দেশটির ১০টি প্রদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে শোক পালন করেছে। একদিন দেশটির পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে, এতে আমরা বাংলাদেশের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।
রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে সহায়তাসামগ্রী নিতে চাই। আমাদের শীতের কাপড়, ওষুধ, শুকনা খাবার ইত্যাদি সহায়তা দিতে পারেন। ঢাকার টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিস এসব সহায়তা গ্রহণ করবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। কোনো নগদ অর্থসহায়তা নেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, টিকা অফিসের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তাছাড়া অর্থ পাঠাতে জটিলতা তৈরি হয়। এ কারণে তারা নগদ অর্থ নয়, সহায়তা হিসেবে ত্রাণ গ্রহণ করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। বলেন, আমরা এ দুর্যোগ একা মোকাবিলা করতে পারবো না। আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তা চাচ্ছি। খুব কম দেশ তুরস্কের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানসহ বিশ্বের  ছড়িয়ে থাকা সকল দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। কসভো এবং আজারবাইজানও শোক পালন করেছে।
ত্রাণ হিসেবে কি ধরনের সহায়তা চাইছেন? জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা শীতের কাপড় চাইছি। কারণ অঞ্চলটিতে বেশ শীত এ মুহূর্তে। আমরা ওষুধ, শুকনো খাবার, জেনারেটর, পাওয়ার ব্যাংক ধরনের ত্রাণ চাইছি। আমাদের চাহিদার তালিকাটি দূতাবাসের ওয়েবসাইট এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় দাতা সংস্থা টিকার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত দেয়া রয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেট থেকে খুলনা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ আমাদের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছেন। আমাদের যে সহযোগিতা করা হবে, তার কাস্টম্স ছাড় দেয়ার ব্যবস্থা সরকার থেকে করা হয়েছে। ডলার সংকটের কারণেই কি বাংলাদেশ থেকে নগদ সহায়তা এড়িয়েছে তুরস্ক? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসলে কত নগদ সহায়তা আসবে, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাধারণ মানুষ ১০ লাখ ডলারের ওপর সহায়তা দেয়। বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ নগদ সহায়তা দেয়, সেটি দিয়ে আমরা এখানে প্রয়োজনীয় ত্রাণ কিনেই তুরস্কে পাঠাবো। ফলে ত্রাণ দিলেই আমাদের জন্য সুবিধা।
এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাওয়া খবরে ১২ হাজার ৩৯১ জন তুরস্কের নাগরিক নিহত এবং ৬২ হাজার ৯১৪ জন আহত হয়েছেন। আর ৬ হাজার ৬৪০টি ভবন ভেঙে পড়েছে। দিন-রাত উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহত বা আহতের কোনো খবর এখনও পাইনি। যদি ভূমিকম্পটি গ্রীষ্মকালে হতো, তাহলে অনেক বিদেশি নাগরিক এখানে থাকতেন। এখন যেহেতু শীতকাল, ফলে সেখানে বিদেশিদের সংখ্যা কম। কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেছেনÑ তাদের মধ্যে একজন তুরস্কের ভাষায় পারদর্শী। ফলে তিনি বাংলাদেশিদের উদ্ধার অভিযানে উদ্ধারকারী দলকে তিনি সহযোগিতা করেছেন।
গত সোমবার ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংযজ্ঞ হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক লাশ বেরিয়ে আসছে। এদিকে আরও ভূমিকম্পের ভয়ে বাসায় ফিরছেন না লোকজন। লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘরবাড়ি হারানো মানুষের জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা পৌঁছানো এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের ঢাকায় দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক  নিখোঁজ: ওদিকে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান জানান, ভূমিকম্পে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার পর তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক নিখোঁজ রয়েছেন। তার এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আনাতোলিয়ায় এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ বলে জানান রাষ্ট্রদূত। বলেন, তিনি সেখানে তুরস্কের পররাষ্ট্র দপ্তরের আঞ্চলিক অফিসে দায়িত্ব পালন করতেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫  থেকে ২০১৯ সালে ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হিসেবে  দায়িত্ব পালন করেন ডেভরিম ওজতুর্ক। তিনি ঢাকা থেকে বিদায় নেয়ার পর আসেন মুস্তাফা ওসমান তুরান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ