Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তুরস্ক থেকে সামরিক ড্রোন কিনছে বাংলাদেশ : মার্চে আসছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:৫৮ পিএম

ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী চমক লাগিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের ড্রোন বিশ্বমানেরও। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও যুক্ত হতে পারে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ওই দেশের তৈরি সামরিক ড্রোন ও আধুনিক নানা সমরাস্ত্র। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিকে এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় দুই দেশ। ওই সম্ভাবনার দুয়ার খুলতেই মার্চে বাংলাদেশে আসবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। -সাউথ এশিয়ান মনিটর, আনাদুলু এজেন্সি

বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিশেষ দৃষ্টি থাকবে এরদোগানের। এ সফর বাস্তবায়নে দূতাবাস কাজ করছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের উন্নয়নের প্রশংসা করে বাংলাদেশ। কয়েক বছর ধরে তুরস্ক থেকে আমরা বিভিন্ন সরঞ্জাম আমদানি করছি। ড্রোন তৈরিতে তুরস্ক বেশ ভালো করছে। তুরস্কের ড্রোন বিশ্বমানের। প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা আগামীতে আধুনিক সরঞ্জাম নেওয়ার বিষয় বিবেচনা করতে পারি। এ সুযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণও। তুরস্কের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা লাভবান হবেন।

প্রতিরক্ষা, নির্মাণ, পর্যটন ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার প্রতি জোর দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ছে। এরদোগানের এ সফরের মাধ্যমে অনাবিষ্কৃত সম্ভাবনাগুলো খুলে যাবে। মাসুদ মান্নান উল্লেখ করেন, গত বছর বৈরুত বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তখন তুরস্ক থেকে তাৎক্ষণিক সহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাদের সহায়তায় জাহাজটি সংস্কার করে বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছিল। পর্যটন নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত এবং বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। এ খাতে অভিজ্ঞ তুরস্ক থেকে শেখার অনেক কিছু রয়েছে আমাদের।

তিনি বলেন, দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা এরইমধ্যে ঘোষণা করেছেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এরদোয়ান মার্চে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। এ সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরের মাধ্যমে এখনও বন্ধ হয়ে থাকা বিভিন্ন সুযোগ খুলে যাবে। এছাড়াও রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সফর আঙ্কারা ও ঢাকার জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ, এর বর্ণনা করতে গিয়ে মান্নান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বর্তমানে যে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য রয়েছে, তা আগামী দুই অথবা তিন বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ