গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর আদাবর, মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগ এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র এবং কিশোর গ্যাং গ্রুপের ২০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তাররা ঢাকা উদ্যান, বসিলা, ফার্মগেট ও কাওরান বাজার ছিনতাই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হট স্পট হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলমান থাকলেও অত্যন্ত ঘনবসতি পূর্ন এলাকা গুলোতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ ডাকাতি, ছিনতাই, খুন এগুলোর প্রবনতা থেকেই যায়। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে র্যাব-২ মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবর, তেজগাঁও, ধানমন্ডি এবং ঢাকা উদ্যান এলাকার কিছু সংখ্যক চাদাঁবাজ, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা বিরোধী কার্যক্রম নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।
ফজলুল হক বলেন, গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত র্যাব-২ জানতে পারে কয়েকজন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ছিনতাই এর উদ্যেশ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, বসিলা এবং কাওরান বাজার এলাকায় প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই প্রস্তুতি ও ছিনতাইকালে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানায়, তারা রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, শ্যামলী, ফার্মগেট, চাঁদ উদ্যান, ঢাকা উদ্যান, বসিলা এবং কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় সংঘবদ্ধ ভাবে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক, দস্যুতা, ছিনতাই, অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে র্যাব-২ এই ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।