Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছাতকের পালপুর গ্রাম রণক্ষেত্র গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫০

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ছাতক উপজেলা সংবাদদাতা  : সুনামগঞ্জের ছাতকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার দোলারবাজার ইউপির পালপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। দু’ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলিও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পালপুর গ্রাম সংলগ্ন লায়েক-পতিত ভূমিতে বড় হওয়া কয়েকটি বন্য গাছ কেটে নেয়াকে কেন্দ্র করে প্রায় দেড়মাস আগে মৃত হারিছ আলীর পুত্র নুর মিয়ার সাথে পালপুর মাদরাসা কমিটির বিরোধ সৃষ্টি হয়। কমিটির দাবি হচ্ছে, লায়েক-পতিত ভূমির এসব গাছ বিক্রি করে বিগত দিনে মাদরাসার উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো কেটে নেয়ায় গ্রামে একাধিক সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। এসব বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে নূর মিয়া তার সশস্ত্রবাহিনী নিয়ে ১৯ নভেম্বর পালপুর জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ চলাকালে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে গ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পালপুর পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রায় দু’সপ্তাহ নিয়মিত পুলিশ প্রহরা থাকাবস্থায় বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালান গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। গত দু’দিন থেকে উভয় পক্ষে আবারো উত্তেজনার ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে গতকাল সোমবার সকালে নুর মিয়া পক্ষও আবুল হোসেন পক্ষের লোকজন সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ রাউন্ড টিয়ারসেলও ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু’ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের কৈতকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কৈতক হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. মাজহারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে আহত রোগীদের শরীরে একাধিক ¯িপ্রন্টার্স বিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। নুর মিয়ার পুত্র মাহবুব জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা করার জন্য পরিকল্পনা করে আসছিল। নিরাপত্তার আশঙ্কা নিয়ে তারা থানায় একটি জিডি করেন।  গ্রামের আব্দুল জলিল মানিক জানান, তার সতের বছরের স্কুল পড়–য়া পুত্র হাসানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে নুর মিয়া পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। ছাতক থানার এসআই তরিকুল ইসলাম গুলি বিনিময়ের কথা অস্বীকার করে জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দু’রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করেছে। ছাতক থানার ওসি আশেক সুজা মামুন জানান, পরিস্থতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দু’পক্ষের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ