Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৌষেও ফ্যান চালাতে হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলে

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম : পৌষের ভরা শীত মৌসুমেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। দক্ষিণাঞ্চলে সর্বনি¤œ তাপমাত্রার পারদ এখনো স্বাভাবিকের চেয়ে ৩Ñ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওপরে। ফলে জনস্বাস্থ্যে নানা বিরূপ প্রভাব ছাড়াও গমের উৎপাদন ব্যহত হবার পাশাপাশি বোরো বীজ তলা ও রোপা বোরোর ভবিষ্যত নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। এমনকি গতকাল বরিশাল মহানগরীর অনেক দোকানপাটে ফ্যানও চালাতে দেখা গেছে। গতকাল রাতের শেষভাগ থেকে সকাল প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেঘনা অববাহিকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সর্বত্র মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে ছিল। দিনের বেশিরভাগই বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় সর্বত্র আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন।
বরিশালে গতকাল সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি। এ সময় পটুয়াখালীর কলাপাড়াতে সর্বনিম্ন তারপমাত্রা ছিল আরো দশমিক ২ ডিগ্রি বেশি, ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ ডিসেম্বরে শেষার্ধে এসে বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা থাকার কথা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার দীর্ঘ মেয়াদী বুলেটিনে, ‘চলতি মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মৃদু, ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝারি এবং ৬-৮সেলসিয়াসের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাবার কথা জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরÑপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত: শুষ্ক থাকার কথা জানিয়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী-অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।  
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী লঘুচাপ অবস্থান করায় উত্তরের হাওয়া বাধা প্রাপ্ত হওয়ায় শীত এখনো সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও কাক্সিক্ষত বিস্তার লাভ করতে পারছে না। ফলে এবার ভরা মৌসুমেও দক্ষিণাঞ্চলে শীতের দেখা মিলছে না। গত সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকার পরে এখন তা ১৬.৫ থেকে ১৬.৭ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। এ মৌসুমে বরিশালে গত ১৪ডিসেম্বর তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। ফলে ভরা মৌসুমে শীতের অভাবে গমসহ বিভিন্ন রবি ফসলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শীত প্রধান দেশের দানাদার খাদ্য ফসল গমের উৎপাদন ব্যহত হবার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। গতবছর ছাত্রাক রোগ ‘বøাস্ট’ এর সংক্রমণের কারণে প্রায় ৩০হাজার হেক্টর জমির গম ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েক হাজার হেক্টর জমির গম পুড়িয়ে ফেলতে হয়েছে। এবার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৭টি জেলায় গম আবাদ নিরুৎসাহিত করার মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকায় এ অর্থকারী ফসলটি নিয়ে কৃষকরা যথেষ্ঠ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৌষে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ