দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি অপরিবর্তিত রয়েছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিকে হিমালয় অঞ্চল হয়ে আসা উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকের কনকনে হিমেল হাওয়ায় দেশের অধিকাংশ স্থানে পৌষের শীত জেঁকে বসছে। তাপমাত্রার পারদ হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে রাতের তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রি। আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে আরো হ্রাস পেতে পারে।

দেশের বেশিরভাগ জেলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় মধ্যরাত থেকে ভোর-সকালের তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির আশপাশে। রাতের তাপমাত্রার সঙ্গে ক্রমেই দিনের পারদ কমছে। বেশিরভাগ জেলায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রিতে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ড ও কক্সবাজারে ২৭.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৪.২ ও সর্বনিম্ন ১৭ ডিগ্রি সে.। চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৬.৬ এবং সর্বনিম্ন ১৫.৭ ডিগ্রি সে.। পৌষের শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে কুয়াশার বিস্তার ঘটছে দেশের অনেক এলাকায়। এতে করে যানবাহন চলাচল ব্যাহত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. হ্রাস এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।