পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় উন্নয়নমেলা আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে এ মেলায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সিকিউরিটিজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করবে। প্রাথমিকভাবে আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের যে ২৮ জেলায় ব্রোকারেজ হাউজসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে সেসব জেলায় ৩ দিনব্যাপী উন্নয়নমেলা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে আগামী বছর বাকি ৩৬ জেলাসহ পুরো বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই ওই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিএসইসি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অংশগ্রহণ করবে বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান।
তথ্যানুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে উন্নয়নমেলা আয়োজন করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সাথে গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক করেছে। বৈঠকে উন্নয়নমেলা আয়োজনের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে সফলভাবে মেলায় অংশগ্রহণের জন্য উদ্যোগ নিতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই বিএসইসির পক্ষ থেকে মেলায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে ২৮টি জেলায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেমনÑ সিকিউরিটিজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেসব জেলার উন্নয়নমেলায় পুঁজিবাজারের প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করবে। জেলা পর্যায়ে উন্নয়নমেলা তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে। এজন্য ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ২৮ জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে উন্নয়নমেলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে বাকি ৩৬ জেলায় উন্নয়নমেলায় অংশগ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে দেশের ৬৪ জেলায় উন্নয়নমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। মেলায় বিএসইসিসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের (ডিএসই, সিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ হাউজ) সমন্বিত স্টল থাকবে। প্রাথমিকভাবে যেসব জেলায় সিকিউরিটিজ হাউজের শাখা রয়েছে সেসব জেলার উন্নয়নমেলায় অংশগ্রহণ করবে বিএসইসি। ইতোমধ্যেই মেলায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেয়াও শুরু হয়েছে।
সরকারের এ উদ্যোগ জানাজানি হওয়ার পর ঢাকার বিনিয়োগকারীসহ জেলা পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা থেকে কামরুল নামের এক বিনিয়োগকারী টেলিফোনে বলেন, ১৯৯৬ সালে একবার শুধু জেলায় জেলায় নয়, থানা পর্যায়ে শেয়ার বাজারের ঢেউ খেলে গিয়েছিল। উত্থানমুখী বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল মানুষ। রাতারাতি যুবসমাজের একটি বড় অংশ পুঁজিবাজারে প্রবেশ করায় বেকার সমস্যার প্রায় সমাধান হয়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা যদি বাজার সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ ধরে রাখতে সক্ষম হতেন আজ বাংলাদেশের চেহারা থাকত অন্য রকম। কিন্তু আমাদেরই একশ্রেণীর সুবিধাভোগী মানুষ তৈরি হওয়া সেই বাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। যেমনটি করা হয়েছে ২০১০ সালেও।
ওই বিনিয়োগকারী আরো বলেন, আমার মনে হচ্ছে বাজার আবারো সে দিকেই যাচ্ছে। আবার জেলায় জেলায় যদি পুঁজিবাজারের গণজাগরণ শুরু করা যায় তাহলে এবারের উত্থান ২০১০ কিংবা ১৯৯৬ সালকেও হার মানাতে পারে। কাজেই এখন থেকেই যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজারের সব স্টেক হোল্ডারগণ সম্মিলিতভাবে বাজার ধরে রাখার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাহলে এবার আর পতনের সম্ভাবনা থাকবে না। দু’বারের পতনের শিক্ষা যাদের আছে তাদের হাতেই আরো একবার বাজারের ধ্বংস হবে তা আমার বিশ্বাস হয় না। Ñওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।