Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

হাইমচরে পাঠাগার চাই

চাঁদপুর জেলার আটটি উপজেলার একটি অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক উপজেলা হাইমচর। এটি শিক্ষার দিক থেকে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে পিছিয়ে। এ উপজেলার অর্ধেকের বেশি ভূমি মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে উপজেলাটি নদী দ্বারা দুটি খ-ে বিভক্ত। কিছু মানুষ নদীতে ভেসে উঠা চরাঞ্চলে বসবাস করছে এবং বাকিরা নদীর পূর্ব পাশে অবস্থান করছেন। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলে এখানে মহাবিদ্যালয় ২টি, উচ্চ বিদ্যালয় ২২টি, মাদ্রাসা ১৩টি ও কেজি স্কুল আছে ৮টি। তারপরও এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর। তাই এদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কিন্তু পুরো উপজেলা জুড়ে সরকারি বা বেসরকারিভাবে নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়তে কোনও পাঠাগার নেই। যেখানে বৃদ্ধ থেকে শিশু প্রত্যেকে পাঠক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উপজেলাকে সমৃদ্ধ করবে। তাছাড়া হাইমচরে বেড়ে চলছে কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্তের সংখ্যা। মূল্যবোধ আর সমাজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, সঠিক পথে ফিরিয়ে এনে তাদের মধ্যে পড়ার অভ্যাস গড়ে দিতে হবে। তাই অনতিবিলম্বে হাইমচরে একটি কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাগার নির্মাণে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করছি।

মোহাম্মদ আল-আমিন
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন