Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলা একাডেমিতে কানিজ ফাতেমা মোহসিনা প্রথম স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

| প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেল থাকবে ল্যাটিনে একমাত্র পাদ্রিরাই তা পড়তে পারবে। সাধারণ মানুষ তা মূর্খের মতো শুনবে, গির্জার ভেতরে মন্ত্র উচ্চারণের শব্দগুলো বাজবে কানে; গির্জাও আলো-অন্ধকার, যিশুর ক্রুশবিদ্ধ মূর্তি সবমিলিয়ে এক প্রশ্নহীন ঘোর লাগা কাজ করবে। এটাই ছিল ঈপ্সিত। পুরোহিততন্ত্র তাই ধর্মগ্রন্থের অনুবাদে বাধা দিয়েছে কারণ তা অন্ধবিশ্বাসের ব্যাপারে ফাটল ধরাবে। ব্রাহ্মণরা শাস্ত্রগ্রন্থের অনুবাদ তো পরে নি¤œবর্ণের মানুষের শাস্ত্রপাঠই নিষিদ্ধ করেছিল। মুসলমান সমাজে মোল্লা-মৌলভিরাও চায়নি কুরআনের অনুবাদ হোক ঠিক এই কারণে। গতকাল বাংলা একাডেমিতে সমাজ-রূপান্তর অধ্যয়ন কেন্দ্র আয়োজিত কানিজ ফাতেমা মোহসিনা প্রথম স্মারক বক্তৃতায় ‘দর্শনের সুখসন্ধান’ শিরোনামে এক প্রবন্ধে এসব কথা বলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, সমাজ বিপ্লবের পথে অনেক অন্তরায় আছে, একটি অন্তরায় উদারনীতিকেরা, যাদের প্রসঙ্গটা দর্শনের ইতিহাসে নানাভাবে আসে। উদারনীতিকেরা আসলে সংস্কারপন্থী, কখনো কখনো ভান করেন সমাজ বিপ্লবীর, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ঠিকই চেষ্টা করেন বিদ্যমান ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে। ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেননা। তারা এখান থেকে ওখান থেকে নেন কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট পন্থার সন্ধান দিতে পারেন না, মেকানিক্যালই রয়ে যান আর অর্গানিক হতে পারেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ