বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : দাশুড়িয়ায় প্রকাশ্যে দিনের বেলায় নির্বিচারে প্রায় ২০/২৫টি সরকারী বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘দেওয়ান ফিলিং স্টেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। দাশুড়িয়া-পাকশী মহাসড়কের নওদাপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে দাশুড়িয়ার আমজাদ হোসেন দেওয়ান নামের এক ব্যক্তি প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই মহাসড়কের পশ্চিমপার্শ্বে লাগানো শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতীর প্রায় অর্ধশত গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছেন। বেশিরভাগ গাছেরই চিহ্ন পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। দুই/একটি গাছের শেকড় ও গুঁড়ি থাকলেও তা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দাশুড়িয়ার আমজাদ হোসেন দেওয়ান ফিলিং স্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রায় একমাস পূর্বে থেকেই তিনি ওই স্থানে ফিলিং স্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণ কাজ নির্বিঘœ করতে সরকারী ভাবে রোপণকৃত অসংখ্য গাছ কেটে ফেলা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার বাঁধা না আসায় তিনি নির্বিঘেœই গাছ কাটার কাজটি সম্পন্ন করেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায় বেশ কিছু শ্রমিক সেখানে গাছ কাটছেন। গাছ কাটার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, এই ফিলিং স্টেশনের মালিকের নির্দেশে তারা এই কাজ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সরকারী গাছ অবৈধভাবে কেটে চরম অন্যায় করেছেন আমজাদ হোসেন দেওয়ান। গাছ গুলো মহাসড়কের দুই পার্শ্বের সৌন্দর্য বর্ধনকারীই নয়, পাশের সেতুর (ব্রীজ) রক্ষক হিসেবেও ভূমিকা পালন করে। সরকারী গাছ কেউ ইচ্ছা করলেই এভাবে কেটে সাবাড় করতে পারে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ডাবলু এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ২০/২৫ দিন ধরে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় এতো বড় অন্যায় কাজ চলছে অথচ প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে দেখেও না দেখার ভান করছে। তবে তিনি এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমিও জানি। সরকারী অনুমতি ছাড়া গাছ কেটে তিনি অন্যায় করেছেন। এদিকে দেওয়ান ফিলিং স্টেশনের মালিক আমজাদ হোসেন দেওয়ান বলেন, আমি নিজে গাছ কাটি নাই। আমার অনুরোধে বন বিভাগের কর্মকর্তারা গাছ কেটেছে। তবে বনবিভাগের কোন কর্র্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে তা তিনি জানাতে পারেননি। এদিকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার শিমুল আখতারের কাছে সরকারী গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যদি সরকারী গাছ কাটা হয়ে থাকে তবে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।