Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রুশ সেনাবাহিনীতে দাড়ি রাখায় নিষেধাজ্ঞা, ক্ষুব্ধ পুতিনের মিত্র রমজান কাদিরভ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:৪৯ পিএম

রাশিয়ান সৈন্যদের দাড়ি রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের প্রধান রমজান কাদিরভ। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত।

রমজান কাদিরভ বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধরত তার বাহিনী মুসলমান এবং মুখের দাড়ি রাখা ধর্মীয় কর্তব্য। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাদিরভের এই মন্তব্য রাশিয়ান সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে খোলাখুলি সমালোচনার সর্বশেষ ঘটনা। তার আগে রুশ সেনাদের ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনও প্রকাশ্যে রাশিয়ান সামরিক নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন।
আল জাজিরা বলছে, গত বুধবার সংবাদমাধ্যম আরবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট-জেনারেল এবং রাশিয়ার সংসদ সদস্য ভিক্টর সোবোলেভ দাড়ি, ব্যক্তিগত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে ‘সামরিক শৃঙ্খলার প্রাথমিক অংশ’ হিসাবে যুক্তি দেন।

এরপর বৃহস্পতিবার টেলিগ্রামে দাড়িওয়ালা রমজান কাদিরভ লিখেছেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে, লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ভিক্টর সোবোলেভের অনেক অবসর সময় আছে, কারণ সামরিক আচরণবিধি বারবার পড়া ছাড়া তার আর কিছুই করার নেই।’
এমনকি সোবোলেভের এই মন্তব্যকে ‘স্পষ্ট উস্কানি’ বলেও অভিহিত করেছেন কাদিরভ। তিনি বলেছেন, তার বেশিরভাগ মুসলিম সৈন্য তাদের ধর্মীয় দায়িত্বের অংশ হিসাবে দাড়ি রাখেন।

এদিকে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা সংস্থার বিবাদ গত সপ্তাহে ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে। তিনিও সোবোলেভের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘১৯৬০ এর দশকের ধ্যান-ধারণা’ বলে অভিহিত করেছেন।

কাদিরভ ও প্রিগোজিনের বাহিনী ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হয়ে লড়ছে। তবে ২০২২ সালের শেষের দিকে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে মস্কোর সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার মুখে পড়ার পর থেকে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের সমালোচনায় তারা আরও স্পষ্টবাদী হয়ে উঠেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সাল থেকে চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন রমজান কাদিরভ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তি ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতেই রুশ বাহিনীর পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য গত বছরের ২৮ মার্চ তাকে লেফটেন্যান্ট-জেনারেল পদে পদোন্নতি দেন পুতিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ