Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যে ভাবে রাশিয়ায় যায় পশ্চিমা পণ্য?

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:১৭ এএম

ইউক্রেনে রুশ সেনা অভিযানের পর মস্কোর ওপর আসতে থাকে শত শত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা। ফলে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা দেশের সাথে রাশিয়ার ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ সংকুচিত হতে থাকে।

তবে প্রকাশ্য এই হিসেবের বাইরে আছে আরেক চমকপ্রদ খবর। আর খবরটি দিয়েছে খোদ মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের প্রতিবেদন মতে, এখনো পশ্চিমা পণ্য একটু ঘুরপথে যাচ্ছে রাশিয়ায়। আর সেই বাজারও নাকি বেশ রমরমা।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনের পর দিন পণ্যবাহী ট্রাকগুলো অপেক্ষা করছে জর্জিয়ার রুশ সীমান্ত ঘেঁষা পাহাড়ি এলাকায়। যে ট্রাকে আছে গাড়ির যন্ত্রাংশ, শিল্পকারখানার জিনিসপত্র, রাসায়নিক পদার্থ, এমনকি টি-ব্যাগও।
রাশিয়ার সীমান্তের কাছে জর্জিয়ার একটি পার্বত্য মহাসড়কে প্রতিদিন পণ্যবাহী ট্রাকের বিশাল লম্বা সারি দেখা যায়। প্রতিদিনই বড় হয় এই গাড়ির সারি। এই ট্রাকগুলোতে করেই মূল রাশিয়ায় যায় পশ্চিমা পণ্য।

দিনের পর দিন মালামাল নিয়ে অপেক্ষা করে ট্রাকগুলো। গাড়ির যন্ত্রাংশ, শিল্পকারখানার জিনিসপত্র, রাসায়নিক পদার্থ, এমনকি টি-ব্যাগের কাগজ পর্যন্ত পরিবহন করে এ ট্রাকগুলো।

আর এই ট্রাকের যাত্রা শুরু হয় তুরস্ক থেকে। নানা পথ ঘুরে সেই পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো পৌঁছে যায় রাশিয়ার শহরগুলোতে।

নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, গত ১০ মাস ধরে জর্জিয়া রাশিয়া ও বহির্বিশ্বের মধ্যকার বাণিজ্যের সুবিধাজনক মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

তুরস্ক থেকে রাশিয়ায় স্থলপথে সবচেয়ে দ্রুত যাওয়া যায় জর্জিয়ার ভেতর দিয়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে তুর্কি ও রাশিয়ার পণ্য পরিবহন তিনগুণ হয়েছে আর এর বেশিরভাগ গিয়েছে জর্জিয়া হয়ে।

মাঝেমধ্যে ট্রাকের এ সারি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মাইল দূরে জর্জিয়ার রাজধানী টিবিলিসি পর্যন্ত দীর্ঘ হয় বলে দাবি করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ