Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী, কপাল খুলছে সাত্তারের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। গতকাল শনিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তিন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্সিপাল শাহজাহান আলম সাজু।

জানা যায়, গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রার্থীদের এক বৈঠকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত প্রার্থীদের নিরুৎসাহিত করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হওয়া সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারসহ দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে উপ-নির্বাচনের এক বছর পরই সেখানে হওয়া পরবর্তী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে হলে যেন প্রার্থীরা সিদ্ধান্ত মেনে নেন সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। মূলত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে কেন্দ্র করেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সরে যাওয়া। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আব্দুস সাত্তার কিংবা অন্য প্রার্থী জয়ী হলে সেক্ষেত্রে দলীয় কৌশল বাস্তবায়ন হবে, যেটি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা।

এ অবস্থায় আসনটিতে কপাল খুলতে যাচ্ছে পদত্যাগ-পরবর্তী বহিস্কার হওয়া বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক ৫ বারের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার! সংসদ থেকে বিএনপির পদত্যাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সাত্তারকে সরকার নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সেখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তিন প্রার্থী অংশগ্রহণ করায়। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্তর সৃষ্টি হচ্ছিল। এ অবস্থায় দলীয় বিভক্তি রুখতে ওই তিনজনকে নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়। তারা তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীন সিদ্ধান্তে কোন রকম চাপ ছাড়াই তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, আমি স্বল্প সময়ের জন্য অংশগ্রহণ করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তবে আগামী নির্বাচনের জন্য আমি প্রস্তুতি নিব। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন বলেন, অল্প সময়ের জন্য এমপি হয়ে যেহেতু মানুষের কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে পারব না। তাই আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। আমি মানুষের আস্থা এবং ভালবাসা হারাতে চাইনা।

উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে এ আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন হবে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ এ আসনটিতে তাদের দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে উন্মুক্ত ঘোষণা করে। এদিকে আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করে ক্ষোভে দল থেকে পদত্যাগ করেন। তার নামে কেনা হয় মনোনয়নপত্র। এর পরপরই তাকে দল থেকে বহিস্কারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সর্বশেষ জেলা বিএনপিসহ সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপ-নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ