Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার দায়

সড়ক পরিবহন আইন যখন আশার আলো দেখাচ্ছে, ঠিক তখন সড়কে প্রাণ ঝরছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল লম্বা হচ্ছে। কোনোভাবেই অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু রোধ করা যাচ্ছে না। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং, অপরিকল্পিত ও অনুমোদনহীন সংযোগ এবং অসচেতনতার কারণে মানুষ নিহত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সড়ক ও রেল দুর্ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। একের পর এক পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। অসংখ্য পরিবার অভিভাবকহারা হচ্ছে। লেভেল ক্রসিং হচ্ছে রেললাইনের উপর দিয়ে যাওয়া সড়কের সংযোগস্থল। কিছু সংযোগস্থল রক্ষিত, আর কিছু অরক্ষিত। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং, অপরিকল্পিত সংযোগ সড়ক এবং অসচেতনতার পাশাপাশি রেলে দুর্ঘটনার পেছনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী মনে করা হয়। রেলপথে মোট ক্রসিং আছে দুই হাজার ৮৫৬টি। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার ৩৬১টির অনুমোদন নেই। আর এক হাজার ৪৯৫টি বৈধ ক্রসিংয়ের মধ্যে ৬৩২টির গেটম্যান নেই। গত দুই বছরে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের সাথে অন্য যানবাহনের ৫৬টির মতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অবৈধ ক্রসিংয়ের বেশির ভাগ রাস্তা-ই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও ইউনিয়ন পরিষদের। বিগত এক যুগে রেলওয়েতে এক লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও লেভেল ক্রসিংগুলোকে নিরাপদ করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কিন্তু রেললাইনের মাঝে সড়কগুলো ক্রসিং আকারের থাকায় মৃত্যু ফাঁদ তৈরি করছে, অথচ তার প্রতিকারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, আর কত মানুষের প্রাণ গেলে লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার মৃত্যুর মিছিল থামবে?

মাজহারুল ইসলাম শামীম
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন