বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাওনা চার হাজার টাকা আনতে ৭ জানুয়ারি দুপুরে এনজিও কর্মী তহমিনার বাসায় যান গৃহবধূ ফাতেমা বেগম। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ৬ দিন পর আজ বৃহষ্পতিবার বিকালে খুলনার পুটিমারী বাজার সংলগ্ন নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক তহমিনা বৃহষ্পতিবার দুপুরে আদালতে হত্যা ও লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট তরিকুল ইসলাম।
ফাতেমা হত্যাকান্ডের বিবরণ জানিয়ে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু বলেন, স্থানীয় নবলোক এনজিওর কর্মী তহমিনা ৪০ হাজার টাকা এনজিও থেকে লোন করিয়ে দেবে বলে ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু লোনের ব্যবস্থা না করে সে ফাতেমা বেগমকে ঘোরাতে থাকে। ৭ জানুয়ারি দুপুরে খাবার শেষ করে ফাতেমা বেগম ৪ হাজার টাকা ফেরত আনতে নগরীর দারোগা পাড়ায় তহমিনার বাসায় যান। এ সময়ে টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তহমিনা পাশে থাকা ইট দিয়ে ফাতেমার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ সময়ে তহমিনা ঘুমন্ত স্বামী ফারুককে ডেকে তোলে। লাশ কী করা হবে এ নিয়ে তারা ভাবতে থাকতে। একসময়ে ঘরের মধ্য থেকে প্লাস্টিকে বস্তা এনে ফাতেমা বেগমের লাশ পেঁচিয়ে পুটিমারী নদীতে ফেলে দেয়। ফাতেমা বেগমের সন্ধানে এনজিও কর্মী তহমিনাদের বাড়ির আশপাশের বাড়ির কয়েকটি সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বুধবার তাদের থানায় তলব করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তহমিনা ও তার স্বামী ফারুক ফাতেমা বেগমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বৃহষ্পতিবার সকালে নদীতে ডুবুরী নামানো হয়। কিন্তু তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। বিকেলে স্থানীয়রা ফাতেমা বেগমের লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করা করে। হত্যাকান্ডে নিজেদের দায় স্বীকার করে তহমিনা দম্পত্তি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।