পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রশাসনে নিজ মেধা, দক্ষতা, সততা, যোগ্যতা এবং উদ্ভাবনী প্রজ্ঞার ধারাবাহিক স্বাক্ষর রেখে আসছেন ড. আহমদ কায়কাউস। এরফলে সরকারের যথার্থ বিবেচনা ও মূল্যায়নে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে আরও দুই বছর ড. আহমদ কায়কাউসের দায়িত্ব পালনের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারি চাকরির মেয়াদ শেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বর তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) নির্ধারিত ছিল। তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) স্থগিতের শর্তে একই পদে নিয়োগ দিয়ে বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়। নতুন অফিস-আদেশে বলা হয় আগামী ১ জানুয়ারি বা যোগদানের তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে ড. আহমদ কায়কাউসের এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যকর হবে। ড. কায়কাউস বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব থাকাকালে বিগত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ইং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে প্রথম দফা নিয়োগ লাভ করেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে আরও দুই বছরের বর্ধিত মেয়াদে ড. আহমদ কায়কাউসের পুনঃনিয়োগে বন্দরনগরীসহ সমগ্র বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসী দারুণ উজ্জীবিত হয়েছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পদে পুনরায় তার নিয়োগলাভে বিশেষ করে ড. আহমদ কায়কাউসের গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দলমত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ আনন্দিত ও গর্বিত। পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হওয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীসহ সাধারণ মানুষজন আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে চলমান মেগাপ্রকল্প ও বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছেন। ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) মুখ্য সচিব হিসেবে উন্নয়ন কর্মকান্ড ও প্রশাসনিক সমন্বয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাছাড়া সমগ্র দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ প্রশাসনিক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে তিনি পারদর্শিতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। করোনাকালে কঠিন সময়েও তিনি গুরুদায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন স্বীয় সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী, বনেদী ও গুণী পরিবারের কৃতিসন্তান ড. আহমদ কায়কাউস। শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতিতে চট্টগ্রামে শুধুই নয়; সারাদেশে পটিয়া অগ্রগামী। পটিয়া পৌরসভার ২ নং সুচক্রদন্ডী ওয়ার্ডের সম্ভ্রান্ত, সংস্কৃতিমনা, শিক্ষানুরাগী ও সমাজহিতৈষী পরিবারে ড. আহমদ কায়কাউসের জন্ম। তার পিতার নাম আহমদ কায়কোবাদ। তার সহোদর আহমদ ইকবাল হায়দার খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। অপর ভাই আহমদ জোবায়ের ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক পুঁথি গবেষক আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ তাদের নিকটাত্মীয়। একই এলাকার অপর কৃতিসন্তান বিচারপতি ফজলুল করিম বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
ইতোপূর্বে উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার অপর কৃতিসন্তান ড. এম আবদুল করিম প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কক্সবাজারের উখিয়ার অপর কৃতিসন্তান মোহাম্মদ শফিউল আলম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদে যোগ দেন।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ড. আহমদ কায়কাউস ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হন। ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি পান। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ড. কায়কাউস সিনিয়র সচিব হন। ১৯৮৪ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ড. আহমদ কায়কাউস সরকারের বিভিন্ন দফতরে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।