Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশুগঞ্জ-ভৈরব দ্বিতীয় রেল সেতু চালু মার্চে

| প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোঃ হুমায়ূন কবির, আশুগঞ্জ থেকে ঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলরুটের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-ভৈরব মেঘনার নদীর উপর নির্মাণাধীন দ্বিতীয় রেল সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী গত ৩০ মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা কথা থাকলেও ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৮৫ ভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে সেতুর ৯টি স্প্যানের মধ্যে ৮টি স্প্যানের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দ্রæত গতিতে সেতুর ১টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। চলতি অর্থ-বছরের মার্চে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে এই রেল সেতুটি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেতুর নির্মাণাধীন কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ-ভারতের একটি প্রতিনিধি দল সেতুর প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
ভারতের রাষ্ট্রীয় ঋণের (এলওসি) আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-ভৈরব মেঘনা নদীর উপর দ্বিতীয় রেল সেতুর কাজ গত ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু করা হয়। প্রায় ৯৮২.২ মিটার দীর্ঘ এই রেল সেতুটির নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ভারতের ইরকন-এফকন জেভি নামে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠান এর নির্মাণ কাজ করছেন। চুক্তি অনুযায়ী ৩০ মাস অর্থাৎ গত ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে ইতোমধ্যে ৯টি স্প্যানের মধ্যে ৮টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তবে আরো অতিরিক্ত ১ মাস সময় লাগতে পারে। এদিকে এই রেল সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগ উন্নতি হবে, দুর্ঘটনা কমে আসবে, সময় অপচয় রোধ হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। রেলব্রীজে কর্মরত বাংলাদেশ-ভারতীয় শ্রমিকরা যৌথভাবে এক সাথে কাজ করছে।
বাংলাদেশের রেলওয়ে মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, আগামী মার্চ মাসে আশুগঞ্জ ভৈরব রেল সেতু চালু করা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারতের একটি প্রতিনিধি দল প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে চলছে। ইতোমধ্যে ৯টি স্প্যানের মধ্যে ৮টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে আশুগঞ্জ ভৈরব ব্রীজের কাজ শেষ হবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্চে

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ