Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাম্প্রদায়িকতার জন্য দায়ী ক্ষমতার কদর্য রাজনীতি-আল্লামা শফী

| প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িকতার জন্য জনগণ নয়, আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার কদর্য রাজনীতিই দায়ী উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, এদেশে সাম্প্রদায়িকতার সাথে মুসলমানেরা কোনোভাবেই জড়িত নয়। মুসলমানদের অনৈক্যের কারণে সুযোগসন্ধানীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। হাটহাজারী আল-আমিন সংস্থার তিন দিনব্যাপী বিশাল তাফসিরুল কোরআন ও ক্বিরাত মাহফিলের গতকাল (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
আল্লামা বলেন, বর্তমানে ঈমান, আমল, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুশাসন পালনে সাধারণ শিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে গাফিলতি অনেক বেড়ে গেছে। ইসলাম থেকে দূরে সরে পড়ার কারণেই মুসলমানগণ নানা দুর্দশা ও ঘাত-প্রতিঘাতের শিকার হচ্ছেন। সঠিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমেই কেবল এই বিপদাপদ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর সাহায্য আশা করা যায়।
তিনি বলেন, মুসলমানদের ঈমানী দুর্বলতা ও অনৈক্যের সুযোগে দেশী-বিদেশী আধিপত্যবাদী শক্তি নানা অপপ্রচার, ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুসলমানদের ঈমানী চেতনাকে নষ্ট করার বহুমুখী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। ওলামায়ে কেরাম ও দেশবাসীকে যে কোনো উসকানিমূলক খবর, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী ও ভোগবাদীরা তাদের উদ্দেশ্য সাধনে উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনদার মুসলমানদেরই প্রধান বাধা মনে করছে। কারণ, একজন আলেম ও দ্বীনদার মুসলমান কখনোই অন্যায়, অপরাধ, জোর-জুলুম দেখে চুপ থাকে না। এ কারণেই দেশ-বিদেশে আজ ইসলাম ও মুসলমানদের নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করলে, ধর্মীয় তৎপরতা চালালে এবং তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিলে কেউ মৌলবাদী, প্রগতিবিরোধী ও জঙ্গিবাদী হয় না। অথচ নামাজ আদায় ও দাড়ি-টুপি পরলে অথবা ইসলাম ধর্মীয় কোনো আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিলেই প্রগতিবিরোধী, দেশবিরোধী ও মৌলবাদীর রঙ লাগানো হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বি-বাড়ীয়ার নাসিরনগরসহ দেশের কয়েকটি স্থানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার ঘটনায় কোনো উলামায়ে কেরাম, মাদ্রাসা ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান জড়িত নয়। কারা এসব হামলার ঘটনার সাথে জড়িত, সেটাও জনগণের কাছে খোলাসা হয়েছে। অথচ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহল এসব হামলার কারণ উদ্ঘাটন করতে দোষীদের কাছে না গিয়ে উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনদার মুসলমানদের কাছে জানতে চায়। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টিই ইসলামবিরোধী চক্রান্তের ধারাবাহিকতারই অংশ।
নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ইদরিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলােেশ তাবলিগ জামাতের প্রধান মুরুব্বি আল্লামা হাফেজ জুবায়ের, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল্লামা ড. এ বি এম হিযবুল্লাহ, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি নজরুল ইসলাম, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আল- মোবারক, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ প্রমুখ।



 

Show all comments
  • right ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ২:৪৭ পিএম says : 0
    Tarek Aziz
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাম্প্রদায়িক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ