Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিবিসি বাংলা

দীর্ঘ একাশি বছর ধরে বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই নেয়া বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার এখন ইতিহাসের সাক্ষী। গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে দশটায় বিবিসির বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত খরচ কমাতে বিবিসি বাংলাসহ প্রায় দশটি ভাষার রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। বিবিসি বাংলা বেতারের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১১ অক্টোবর ১৯৪১ সালে। তখন প্রতি সপ্তাহে লন্ডন থেকে বাংলায় নিউজলেটার অনুবাদ করে পড়ে শোনানোর মধ্য দিয়ে শুরু হতো এই সম্প্রচার। সেই সময়ে ইংরেজিতে লেখা কথিকা সপ্তাহে অনুবাদ করে পড়ে শোনাতেন ড. সুধীন ঘোষ। যিনি ছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক। ইংরেজি কথিকাগুলো লিখতেন প্রবন্ধকার, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক এরিক ব্লেয়ার, সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েল। সে সময় ইউরোপজুড়ে বাজছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। জর্জ অরওয়েলের বার্তা লিপির প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে যুদ্ধই থাকতো, পাশাপাশি থাকতো সাহিত্য, উপনিবেশের অন্য জায়গার পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়। বিবিসি বাংলার যাত্রা শুরু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্রান্তিকালে মিত্র পক্ষের বক্তব্য ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে। কারণ সেই সময় মিত্র পক্ষের হয়ে লড়াই করেছিল ভারতীয় উপমহাদেশের লাখ লাখ সৈন্য। পরবর্তীতে বিবিসি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছে। ২০০৪ সালে এক শ্রোতা জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে বিবিসি। তাই বিবিসির ভূমিকা ভুলে গেলে চলবে না। এই বেতারে বাংলা সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাওয়া লাখো লাখো শ্রোতার বিরাট ক্ষতি। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে উঠবো আমরা জানি না। বিবিসি কর্তৃপক্ষ যদি সদয় হয়ে বিষয়টি বিবেচনা করতেন, তাহলে আমার মতো লাখ লাখ বাংলা ভাষাভাষী মানুষ উপকৃত হতো।

আজম জহিরুল ইসলাম
গৌরীপুর, ময়মনসিংহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন