Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইটি রফতানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার -বাণিজ্যমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তথ্য প্রযুক্ত (আইটি) রফতানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা দিবে সরকার। আইটি সেক্টরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। এ সেক্টরে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আইটি সেক্টরের রফতানি বেড়েই চলছে। মন্ত্রী বলেন, দেশের রফতানি আয় বৃদ্ধির জন্য সে সকল সেক্টরকে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে আইটি এর মধ্যে অন্যতম। দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরিত করার জন্য আই সেক্টর থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০১৭ সালেই বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে রফতানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আইটি সেক্টরের উন্নয়ন ইতোমধ্যে বিশ^বাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও বাংলাদেশের এ ক্ষেত্রের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের আইটি সেক্টরকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হবার দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল ‘সাইবার সিকিউরিটি ‘দি অনলি ওয়ে টু ফ্লাই’ শ্লোগান নিয়ে এ্যালিফেন্ট রোডস্থ কম্পিউটার সিটি সেন্টার (মাল্টিপ্লান্ট) দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত ‘ডিজিটাল আইটি ফেয়ার-২০১৬’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে দু’টি প্রতিশ্রæতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। একটি হলো- ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, অপরটি হলো- দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। ডিজিটাল বাংরাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। দেশের মানুষ এখন ৫ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ২০০ ধরনের নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে। ডিজিটাল সেন্টারের সুবিধা এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। দেশের শিক্ষিত ও মেধাবী যুব সমাজ এখন আইটি সেক্টরে কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন। সে কারনেই দ্রæত উন্নতি হচ্ছে আইটি সেক্টরে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় দেশের জিডিপিতে কৃষি সেক্টরের অবদান ছিল ৭০ ভাগ, এখন তা ১৫.৯৬ ভাগ। শিল্প ক্ষেত্রে ৩০.৪২ ভাগ এবং সার্ভিস সেক্টরে ৫৩.৬২ ভাগ। মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছরের বেশি, স্বাক্ষরতার হার ৬২.৩ ভাগ। দেশের রফতানি এখন ৩৪.২৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এ বছর হবে প্রায় ৩৭ , ২০২১ সালে তা হবে ৬০ এবং ২০৪১ সালে হবে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি অর্জণ করে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিক এহ্সোন-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা মহসিন মন্টু, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সফ্টওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সভাপতি মোস্তফা জব্বার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশরাফ, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক মো. আবু মোতালেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইটি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ