মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নববর্ষের শুরুতেই দফায় দফায় রাশিয়ার মিসাইলের আঘাতে কেঁপে উঠল ইউক্রেন। শনিবার মধ্য রাত থেকেই ফের ইউক্রেনের উপরে নতুন করে হামলা শুরু করল রাশিয়া। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেই প্রথম বিস্ফোরণটি হয়। এরপর দফায় দফায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের আরও দুটি জেলায় একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, এমনটাই অভিযোগ। যদিও মিসাইলের আঘাতে এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। রাশিয়ার তরফেও এই মিসাইল হামলা নিয়ে এখনও অবধি কোনও বিবৃতি দেয়া হয়নি।
খ্রিস্টমাস, নববর্ষ- একের পর এক উৎসবের মাঝেও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। সম্প্রতিই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের কাছে সাময়িকভাবে যুদ্ধ থামানোর অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেননি, জারি রেখেছেন যুদ্ধ। তবে বিগত কয়েক দিনে ইউক্রেনের উপরে হামলা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল রাশিয়া। নতুন বছরেও সেই অবস্থানই বজায় রাখা হবে, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার রাতে ঘড়ির কাটা ১২ টা পার করতেই, ইউক্রেনের উপরে ফের হামলা শুরু করে রাশিয়া।
নতুন বছরে পা দিতেই আধ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম বিস্ফোরণটি হয় কিয়েভে। চার তারা হোটেল আলফাভিটোর উপরে মিসাইল আছড়ে পড়তেই তা গুড়িয়ে যায়। এরপরে কিয়েভের ন্যাশনাল প্যালেস অব আর্টসের পাশেও বিস্ফোরণ হয়। ইউক্রেনের দক্ষিণে অবস্থিত মাইকোলাইভ শহরেও মধ্য রাতে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। সেখানে মিসাইলের আঘাতে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১১ মাসে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এখনও যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। ৩১ ডিসেম্বর বিকেলেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ‘যুদ্ধে জয় না পাওয়া অবধি ইউক্রেনীয়রা লড়াই থামাবে না। আমি আপনাদের সকলকে বলতে চাই- ইউক্রেনবাসী, আপনারা শ্রেষ্ঠ! দেখুন আপনারা কী কী করেছেন আর এখনও কী করছেন। আমরা সকলে মিলে একটা দল হয়ে লড়ছি। গোটা দেশ একসঙ্গে লড়ছি। আপনাদের সকলের জন্য আমি গর্বিত।’
রাশিয়া কখনো বিভক্ত হবে না : পশ্চিমারা শান্তির বিষয়ে মিথ্যা বলছে এবং রাশিয়ায় বিভেদ বপন করার জন্য ইউক্রেন ও দেশটির জনগণকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
পুতিন বলেন, ‘পশ্চিমারা আগ্রাসনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় শান্তির বিষয়ে মিথ্যা বলেছিল এবং এখন তারা বিনাদ্বিধায় এটি প্রকাশ্যে স্বীকার করছে। তারা রাশিয়াকে দুর্বল ও বিভক্ত করার জন্য ইউক্রেন এবং জনগণকে নিষ্ঠুরভাবে ব্যবহার করছে।’ পুতিন জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা কখনো কাউকে এটা করতে দিইনি এবং করবও না। কয়েক বছর ধরে পশ্চিমা অভিজাতরা কপটভাবে ডনবাস দ্বন্দ্বের সমাধানসহ তাদের শান্তিপূর্ণ অভিপ্রায়ের আশ্বাস দিয়ে আসছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আসলে প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে তারা নব্য-নাৎসিদের উৎসাহিত করছিল, যারা ডনবাসের গণপ্রজাতন্ত্রের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক এবং প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আরেক দফা যুদ্ধবন্দি বিনিময় : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আরেক দফা যুদ্ধবন্দি বিনিময় হয়েছে। এ দফায় দু’দেশের প্রায় ২০০ জন যুদ্ধবন্দি মুক্তি পেয়েছেন। খবর অনুসারে, ইউক্রেন ৮২ জন রুশ সৈন্যকে এবং রাশিয়া ইউক্রেনের ১৪০ জন যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের মধ্যে ৮ জন নারী। সূত্র : তাস, সিআরআই, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।