এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে উঠে এসেছে।
জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার জরিপ -২০২২ শীর্ষক জরিপটি তৈরি করতে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৯ মে থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে প্রকাশ করা এই জরিপের তথ্যে দেখা গেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার সবচেয়ে কম উত্তরাঞ্চলে। রাজশাহী বিভাগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগের ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
মোবাইল ব্যবহার কারীর বিষয়ে জরিপে জানানো হয়, দেশে এখন মোবাইল ব্যবহার করে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ। রংপুরে ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করে। তবে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মুঠোফোন ও স্মার্টফোনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগ পিছিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বরিশালের মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে। সবচেয়ে বেশি (১৫ শতাংশ) কম্পিউটার ব্যবহার করে চট্রগ্রাম বিভাগের মানুষ।
বিবিএসের ব্যক্তিপর্যায়ে আইসিটির ব্যবহারের জরিপে বলা হয়েছে, দেশের ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের নিজস্ব মুঠোফোন আছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ নারী। ব্যক্তিপর্যায়ে স্মার্টফোন ব্যবহার প্রায় ৩১ শতাংশ, দিনে অন্তত একবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৬৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ। মাত্র ৭ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে। নিজস্ব কম্পিউটারের মালিক ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। স্মার্ট ফোনের মালিক ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
দিনে অন্তত একবার মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পুরুষের চেয়ে নারীরা এগিয়ে। এ ছাড়া গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে এগিয়ে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় ৩৫ শতাংশ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী।
পরিবারভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী বিবিএসের জরিপে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় ৯৭ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে মুঠোফোন ব্যবহার হয়। এ ছাড়া পরিবারে স্মার্টফোন ব্যবহারের পরিমাণ ৫২ দশমিক ২ শতাংশ। ল্যান্ডফোন ব্যবহার অনেক কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশের মানুষ। পরিবারে কম্পিউটার ব্যবহারের পরিমাণ ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহার হয় ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ পরিবারে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের বাধা হিসেবে বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, দেশের ৬৩ শতাংশের বেশি মানুষ মনে করে ইন্টারনেটের কোনো প্রয়োজন নেই। যার মধ্যে গ্রামের ৬৪ শতাংশের বেশি এবং শহরের ৫৮ শতাংশ মানুষ রয়েছে। ইন্টারনেট সেবাকে ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ব্যয়বহুল মনে করে। এ ছাড়া প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহারের জন্য যেসব উপকরণ দরকার, সেটাও ব্যয়বহুল।
বিবিএসের জরিপে আইসিটির ব্যবহারে ২০১৩ ও ২০২২ সালের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, গত ১০ বছরে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ। ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এই ১০ বছরে কম্পিউটার ব্যবহার বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।