বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুন্দরবনের মিরগামারী খাল থেকে তিন বনদস্যুকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোররাতে বনের গহীনের শেলা নদীর বাওন থেকে অস্ত্র সহ তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, নৌকা ও ডাকাতির কাজে ব্যাবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালে সরকার সুন্দরবন দস্যু মুক্ত ঘোষনা করে। দীর্ঘ ৫ বছর পর আবারও হঠাৎ গত ৯ ডিসেম্বর রাতে নতুন এক দল বন দস্যুর আবির্ভাব হয়। এ সময় তারা জেলে বহরে হামলা ও লুটপাট চালায় এবং মুক্তিপণের দাবীতে ১৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দস্যুরা। পরে প্রতি জেলে ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দিয়ে তাদের জিম্মিদশা থেকে ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুক্ত হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে আসে। এঘটনা নিয়ে জেলে ও পরিবারদের মাঝে নতুন করে উৎকন্ঠা ও আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর থেকেই সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করতে র্যাব, কোস্টগার্ড, বন বিভাগ ও পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের সুত্রধরে সুন্দরবনের জয়মনি ঘোল এলাকায় অভিযানে নামে মোংলা থানা পুলিশ। বাগেরহাট পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে রাত ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনির ঘোল শেলা নদী সংলগ্ন সুন্দরবনের মিরগামারী খালের উত্তর পাড় থেকে শরণখোলা থানার সাউথখালী ৪নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত মকবুল ফরাজী ছেলে মোঃ মাসুম ফরাজী (৩৫), একই ইউনিয়নের মোঃ আব্বাস কবিরাজের ছেলে মোঃ হাছান কবিরাজ (৩০) ও বড়গুনা জেলার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন হাওলাদার (৫০) কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১টি দেশী তৈরী একনালা বন্দুক, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, কাঠের বাটসহ ২টি রামদা, ২টি লোহার রড, ১টি কাঠের পুরাতন ডিঙ্গি নৌকা, ২টি টর্চ লাইট, গামছা, জেলেদের হাত-পা বাধার নাইলনের রশি, ১টি স্কচ টেপসহ বিভিন্ন সাইজের কয়েকটি গরান গাছের লাঠি ও তাদের ব্যাবহৃত অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বনদস্যুদের বিরুদ্ধে মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং-২৬।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর নতুন করে সুন্দরবনে বনদস্যুর তৎপরতা ও জেলে অপহরণের খবরে প্রশাসন তাদের টহল জোরদার করেছে। তাদের অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে মুক্তিপণ নিয়ে জেলেদের ছেড়েও দিয়েছে কিস্তু সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে অভিযান চালমান রয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩ সদ্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি বন দস্যুদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে, যতক্ষন পর্যন্ত সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।