Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সামাজিক অবক্ষয় রোধে ধর্মীয় শিক্ষা

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

অবক্ষয় শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ক্ষয়প্রাপ্তি’। আর সামাজিক মূল্যবোধ তথা সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, ধৈর্য, উদারতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, নান্দনিক সৃজনশীলতা, দেশপ্রেম, কল্যাণবোধ, পারস্পরিক মমতাবোধ ও অপরাপর নৈতিক গুণাবলি লোপ পাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে সামাজিক অবক্ষয় বলে ধারণা করা হয়। সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কারণ, শিক্ষা হলো জাতির মেরুদন্ড তথাপি সমাজের মেরুদণ্ড। যে সমাজে শিক্ষা ব্যবস্থা যত উন্নত সেই সমাজে অবক্ষয় তত কম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের সংস্কৃতি, সাহিত্য এবং ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। সামাজিক অবক্ষয় রোধে পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। আদর্শ মানুষ হিসেবে সন্তানকে গড়ে তোলার জন্য পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। পরিবার থেকে একজন শিশু তার জীবনে গ্রহণযোগ্য এবং বর্জনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে থাকে। আর এগুলো রপ্ত করতে হয় প্রথমত পরিবার থেকেই। কারণ ভদ্রতা, নৈতিকতা, কৃতজ্ঞতাবোধ, অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-স্নেহ, পরোপকার, উদার মানসিকতা- এগুলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে খুব বেশি অর্জন করা যায় না। পরিবার থেকে সুশিক্ষা না পেলে একসময় সব শিক্ষাই ম্লান হয়ে যায়। সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ ধর্মহীনতা, অসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব এবং সর্বগ্রাসী অশ্লীলতার মতো আরও কিছু বিষয়। ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে সভ্য করে। আজ ধর্মকে ত্যাগ করে আমরা পুনরায় অসভ্য-বর্বরতার যুগেই ফিরে যাচ্ছি। তাই সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক শিক্ষা যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনি ধর্মীয় শিক্ষা প্রয়োজন। এই সর্বগ্রাসী সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার বিস্তার। এক কথায়, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

মো. হাসান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন