২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
জেট ল্যাগ। যারা নিয়মিত বিমান ভ্রমণ করে তাদের কারও কারও এই সমস্যা দেখা যায়। একে জেট ল্যাগ ডিজঅর্ডারও বলে। জেট ল্যাগে ঘুমের সমস্যা হয়। দিনের বেলায় ক্লান্তি লাগে। অস্বস্তি হয়। পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
পাইলট, বিমান সেবিকা, যারা ব্যবসা বা অন্য প্রয়োজনে নিয়মিত ভ্রমণ করে তাদের জেট ল্যাগের সমস্যা বেশি হয়। তরুণদের থেকে বৃদ্ধদের এ সমস্যা বেশি হয় এবং সমস্যা উত্তরণে বেশি সময় লাগে।
আমাদের সবার মধ্যেই দেহঘড়ি আছে। তার একটা নির্দিষ্ট ছন্দ আছে। প্লেনে খুব দ্রæত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া যায়। দেহঘড়ির ছন্দের ওপর সূর্যালোকের প্রভাব আছে। কারণ সূর্যালোকের সাথে মেলাটনিনের যোগাযোগ আছে। মেলাটনিন দ্বারা শরীরে বিভিন্ন কোষে সিগন্যাল পৌঁছায়। যেহেতু প্লেনে এই সূর্যালোকের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিবর্তন হয় তাই মূলত জেট ল্যাগ দেখা যায়। তবে বর্তমান গবেষণায় আরো কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। বিমানের ভেতর বিভিন্ন চাপ এবং বিমানের উচ্চতার জন্যেও জেট ল্যাগ হয় বলে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন।
জেট ল্যাগ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন-
১। ঘুমের সমস্যা।
২। দিনের বেলায় ক্লান্তি।
৩। মনোযোগের ঘাটতি।
৪। ডায়রিয়া।
৫। কোষ্ঠকাঠিন্য।
৬। অস্বস্তি।
৭। মাংসপেশীতে ব্যথা।
৮। মাসিকে সমস্যা ইত্যাদি।
জেট ল্যাগে তেমন কোন চিকিৎসা লাগে না। তবে যারা নিয়মিত প্লেনে ভ্রমণ করে তাদের জেট ল্যাগ হলে কাজে ব্যঘাত হয় তাই তারা ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাবেন। জলপিডেম, এসজপিক্লোন, জালেপ্লন এবং ট্রায়াযোলাম জাতীয় ওষুধ জেট ল্যাগে ভাল কাজ করে। লাইট থেরাপীও জেট ল্যাগে উপকারী। এক্ষেত্রে উজ্জ্বল আলো দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
বৈশ্বিক এই যুগে জেট ল্যাগ এখন খুব পরিচিত সমস্যা। যেহেতু অনেক বেশি দেখা যায় তাই ভয় নয় এ বিষয়ে করনীয় জানতে হবে সকলকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।