২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
“ডায়াবেটিস’ বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করছে যার ফলে বর্তমান বাংলাদেশে এমন কোন পরিবার নেই, যে পরিবারে এক বা একাধিক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি নেই। অতএব ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র এমন একটি রোগ যে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে রোগীর কোন অসুবিধা নেই, কিন্তু যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে ব্যায়াম। আর ব্যায়াম করতে না পারলে শুধুমাত্র ওষুধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিণ করা খুবই কঠিন। আমাদের দেশে বয়স্ক ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যাই বেশি, তাই যারা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম হাড়ের ক্ষয়জনিত ব্যথা যেমন-হাঁটু ব্যথা, কোমর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা বা কাঁধে ব্যথায় ভুগছেন, তাদের বেশির ভাগই সঠিকভাবে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে পারেন না। যার ফলে ওষুধ বা ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, যার ফলে ক্রমান্ব^য়ে ওষুধ শরীরে রেসিস্ট্যান্স হয়ে যায়। আর ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। ব্যথানাশক ওষুধের কারণে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যেমন- লিভার, কিডনি ইত্যাদির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীর ব্যথা-বেদনায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রক্রিয়াহীন নিরাপদ চিকিৎসা। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর সমস্যা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রো-থেরাপিউটিক এজেন্ট, থেরাপিউক এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম। বিভিন্ন ধরনের ম্যানুয়াল থেরাপি বা ম্যানুপুলেন থেরাপির মাধ্যমে ব্যথা কমাতে সাহায্য করেন। যার ফলে ডায়বেটিক রোগী আবারও ফিজিক্যাল এক্সরসাইজ বা ব্যায়াম গুলি করতে পারেন এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন।
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসাপাতাল
বাড়ী নং-১২/১, রোড নং-৪/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।
মোবাইলঃ ০১৭৮৭-১০৬৭০২।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।