Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

করোনা শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

করোনা মহামারীতে মৃত্যুবরণ করা বেশিরভাগ মানুষই পরিবারের কর্মক্ষম বা উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিল। একটি পরিবারে প্রধান উপার্জনক্ষম মানুষটি যখন মারা যায়, তখন ওই পরিবারের দুর্দশার শেষ থাকে না। তাহলে একবার ভাবুন, করোনা শহিদদের পরিবারের কী অবস্থা? একটা বাস্তবিক উদাহরণ দিই। আমার চাচার চার মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের সবার বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলেটি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা ছিলেন। করোনা মহামারীতে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলেটি অকালে প্রাণ হারায়। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধ মা বাবার সারা জীবন সন্তান হারা বেদনা তো থাকছেই। সেই সাথে উপার্জনকারী মানুষ বিয়োগে সংসারের চালিকা শক্তিতে ভিন্নতা আসাই স্বাভাবিক। শত ধন সম্পদ থাকুক, তারপরেও কিছুটা হিমশিম যেকোন পরিবারই খাবে। এটি না হয় মধ্যবিত্ত পরিবার বলে চালিয়ে দিলাম। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র পরিবারের কথা কী হবে। কারণ, উপার্জনকারী সদস্য করোনাতে মৃত্যুবরণ করেছে এমন দরিদ্র বা নিম্ন মধ্যবিত্ত হাজারো পরিবার রয়েছে আমাদের দেশে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো করোনা শহিদদের পরিবারের কথা কেউ ভাবে না। এমনকি এরকম পরিবারের জন্য কোনো প্রকার ভাতার ব্যবস্থাও নেই। মানবিক দৃষ্টিকোণ বা দায়িত্বশীলতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলেই বিষয়টির গুরুত্ব সহজেই বুঝা যায়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত, করোনা শহিদদের পরিবারের জন্য ভাতা বরাদ্দ করা বা তাদের পাশে দাঁড়ানো।

শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল
শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন