বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাছিম উল আলম : ভরা শীত মওশুমেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কাক্সিক্ষত শীতের দেখা নেই। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে এখনো তাপমাত্রার পারদ ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছে পীঠে ঘোরা ফেরা করছে। তবে পৌষের প্রথম দিন গত ১৪ ডিসেম্বর বরিশালে তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। ফলে গমসহ বেশ কিছু রবি ফসলের উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগের মতে ‘উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম বঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে’। ‘মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে’ বলে জানিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ‘আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক’ থাকার কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি ‘শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে’ বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। মেঘনা অববাহিকা গত কয়েকদিন ধরে শেষ রাত থেকে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে।
তবে ভরা মওশুমে এখনো তাপমাত্রা হৃাস না পেলেও ‘সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবার পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকা’র কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘ মেয়াদী বুলেটিনে ‘চলতি মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মৃদু, ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝারি এবং ৬-৮ সেলসিয়াসের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাবার’ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। পাশাপাশি চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে ১টি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভবনার কথাও জানিয়ে তা নি¤œচাপে পরিণত হতে পারে বলেও জানান হয়েছে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘ মেয়াদি বুলেটিনে বলা হয়েছে। দেশের প্রধান নদ-নদী সমূহে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি চলতি মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ২-৩ মিলিমিটার এবং গড় সূর্য কিরণকাল পৌনে ৭ঘন্টা থেকে পৌনে ৮ঘন্টা থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
তবে আবহাওয়া বিভাগ থেকে খুব শিঘ্রই দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত নামার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। এবার শীতের বিলম্বের কারণে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দানাদার খাদ্য ফসল গমের উৎপাদনে মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষিবিদগণ। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা ও কৃষকদের পরিশ্রমে শীত প্রধান দেশের ফসল-গম এর আবাদ গত এক যুগে দেশে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছরও দেশে লক্ষ্যমাত্রার অতিক্রম করে গমের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন ছিল ১৫ লাখ টনেরও বেশি। কিন্তু এবার ভড়া শীত মওশুমেও তাপমাত্রা এখনো না কমায় কাক্সিক্ষত শীতের দেখা নেই। ফলে গমসহ অনেক রবি ফসলের উৎপাদনে যথেষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা করছেন কৃষিবিদগণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।