মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সদ্য বিহার বিধানসভায় বিজেপির ভাল ফল হয়েছে। ভাল ফল হয়েছে দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনেও। কিন্তু মহারাষ্ট্রে দেখা গেল উলটো ছবি। বিধান পরিষদের নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত ৬টি আসনের নির্বাচনে বিজেপির দখলে গেল মাত্র ১টি আসন। রাজ্যের শাসক জোট মহা বিকাশ আগাড়ি জিতল ৪টি আসন। নাগপুর, যেখানে কিনা আরএসএসের সদর দপ্তর, দীর্ঘদিন পর সেই নাগপুরের শিক্ষকদের আসনটিও এবার হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের।
মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত ৬টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল ১ ডিসেম্বর। গতবছর শিব সেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম বড় নির্বাচন মহারাষ্ট্রে। বিজেপি চাইছিল, শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত এই ৬টি আসনে শাসক শিবিরকে জোর ধাক্কা দিতে। যাতে মহারাষ্ট্রের মানুষের কাছে বার্তা যায় যে, সেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের অনৈতিক জোটকে মানুষ সমর্থন করছেন না। কিন্তু সেটা তো হলই না, উলটে নিজেরাই বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। শাসক জোটের শরিক এনসিপি এবং কংগ্রেস ২টি করে আসনে জিতেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দল শিবসেনা একটি আসনে লড়েও জিততে পারেনি। অন্য আসন গিয়েছে নির্দল প্রার্থীর দখলে। প্রসঙ্গত, ৬টি আসনে শাসক জোটের তরফে কংগ্রেস ৩, এনসিপি ২ এবং শিবসেনা ১টি-তে প্রার্থী দিয়েছিল। পুণে এবং অওরঙ্গাবাদ ডিভিশনের ১টি করে স্নাতক আসনে জয় পেয়েছে এনসিপি। পুণে ডিভিশনের শিক্ষক আসন এবং নাগপুর ডিভিশনের স্নাতক আসনে জিতেছে কংগ্রেস। অন্য দিকে, বিজেপি-র ঝুলিতে গিয়েছে ধুলে-নন্দুরবারের একটি বিধান পরিষদ আসন। অমরাবতীর শিক্ষক কেন্দ্রে শাসক জোটের শিবসেনাকে হারিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় নির্দল প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের মোট ৭৮ আসনের মধ্যে ১৪টি আসন শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত। তার মধ্যে এই ছটি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। যাতে প্রায় ১২ লাখের মতো ভোটার ভোট দেন। আর সেজন্যই এই ফলাফলকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাছাড়া নাগপুর আরএসএসের গড়। নাগপুরের স্নাতক কেন্দ্রটি গত ৫ দশক ধরে ‘সংঘ প্রভাবিত’ হিসেবে পরিচিত। সাবেক বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের বাবা গঙ্গাধর রাও ২ বার এখান থেকে জিতেছিলেন। বিজেপি-র সাবেক সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এই আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২৫ বছর। বিধান পরিষদের ফল সম্পর্কে বিজেপি-র পরিষদীয় নেতা দেবেন্দ্র গতকাল বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা মাফিক ফল করতে পারিনি। তিনটি দলের জোটের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হয়েছে। আশা করি, পরের ভোটে আমরা ভাল ফল করতে পারব।’
বিধানসভার মতোই বিধান পরিষদেও ‘নির্বাচিত’ হতে হয়। কিন্তু সেখানে সাধারণ নাগরিকরা ভোট দেন না। সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ভোট দেন বিধায়ক, পঞ্চায়েত-পুরসভার মতো স্থানীয় প্রশাসনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ও ক্ষেত্রভুক্ত পেশার মানুষেরা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গেও একটা সময় বিধান পরিষদ ছিল। সাতের দশকে যুক্তফ্রণ্টের সরকার ক্ষমতায় এসে তার অবলুপ্তি ঘটায়। সারা ভারতে এখনও ৬টি রাজ্যে বিধান পরিষদ আছে। সেগুলি হল বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং কর্ণাটক। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।