Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এক যুগ পর উৎপাদনে

জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৬৩০ মেগাওয়াট পরিবেশ বিপর্যয় ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পুরো দায় বাংলাদেশের : পদ্মা রিভার ক্রসিংসহ দীর্ঘ ট্রান্সমিশন লাইন চালু

নাছিম উল আলম/পঞ্চায়েত হাবিব/ডিএম রেজা | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

নির্মাণ শুরুর এক যুগ পরে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে বহুল আলোচিত-সমালোচিত বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া শুরু করেছে।
বাগেরহাটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি মোংলা-মাওয়া-আমিনবাজার গ্রিডলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬২০ থেকে ৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ৪০০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জের আমিন বাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২৬০ মেগাওয়াট খুলনা-বাগেরহাটে সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঠিক করেনি। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, পিডিবি এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করবে এবং শিগগিরই তারিখ নির্ধারণ করবে। গত ১৭ ডিসেম্বর রাত থেকে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরো ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্ল্যান্টের উপব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম ইনকিলাবকে বলেন, কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। গত শনিবার রাত থেকে প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ দ্রুত শেষ হবে। আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
গত ২০১০ সালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের উদ্যোগে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লি. (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে রামাপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশাল কর্মেযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে চলতি বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইনে স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পর ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তির একযুগ পরে হলেও, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়রা। তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত নীতিবাচক প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশকর্মী ও সচেতন মহল।
এদিকে, সুন্দরবনের কোলে কয়লাভিত্তিক এমন একটি প্রকল্প স্থাপন সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্রের জন্য চরম ক্ষতিকর হবে বলে এর বিরোধিতা করে আসছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। এছাড়া ভারতের সাথে চুক্তি নিয়েও শুরুতে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিভিন্ন সচেতন মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) বা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ জন্য ভারতের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক থেকে ১৬০ কোটি ডলার ঋণ নিতে হয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫০ শতাংশ করে মালিকানা দুই দেশের হলেও ঋণের পুরোটা দায়ভার থাকছে বাংলাদেশের ওপর। কোনো কারণে প্রকল্প বন্ধ, লোকসান, কিংবা কিস্তির অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকেই। যৌথ মালিকানার কোম্পানি হলেও এক্সিম ব্যাংক ঋণের দায় বাংলাদেশের ওপর চাপিয়েছে। এ প্রকল্প থেকে শুধু মুনাফার অর্ধেকই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পাবে না, ঠিকাদারি কাজ, কয়লা সরবরাহের কাজ সবই তারা পাবে। সেখানেও ভারত লাভবান হবে। এক্সিম ব্যাংকের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ১৬০ কোটি ডলারের ঋণ বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরে। সাত বছর পর থেকে ঋণের নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে। ২৭টি অর্ধবার্ষিক কিস্তিতে এক্সিম ব্যাংককে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণের সুদের হার হবে লন্ডন আন্তব্যাংক হারের (লাইবর) সঙ্গে ১ শতাংশ সুদ যোগ করে। এছাড়া ঋণের অব্যবহৃত বা ছাড় না করা অর্থের ওপর বার্ষিক দশমিক ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। ঋণ প্রক্রিয়াকরণের জন্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক মাশুল ২ লাখ ডলারও দিতে হয়েছে বিআইএফপিসিএলকে। প্রকল্পটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশই কিনবে বাজার মূল্যের সাথে মুনাফা যোগ করে। এক্ষেত্রে কোন ভর্তুকি দেয়া হবে না।
বিশেষজ্ঞরা আরো মনে করেন, ৫০ শতাংশ করে মালিকানা হলে এই ঋণের গ্যারান্টিও দুই দেশের সমান আনুপাতিক হওয়া উচিত ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যেরই এটাই স্বীকৃত ধারা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর পুরো ঋণের দায়ভার দেয়ায় চুক্তিটি ভারসাম্যহীন হয়েছে। কয়লাভিত্তিক হওয়ায় কয়লার দামের সাথে সমন্বয় করে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করায় লাভের বদলে লোকসানর আশঙ্কা বেশি রয়েছে। তাছাড়া এ কেন্দ্রে ভারত একচেটিয়া কয়লা সরবরাহ করে অধিক মুনাফা লাভ করবে। কাজেই এ প্রকল্পে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত লাভবান হবে বেশি।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা রবীন্দ্র কুমার ইনকিলাবকে বলেন, প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলো। এর মধ্যে ৪০০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জের আমিন বাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২৬০ মেগাওয়াট খুলনা-বাগেরহাটে সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯.৩৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াটের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুন মাসে। ধীরে ধীরে মেশিনের কার্যক্রম বাড়াচ্ছি, আমাদের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদা পূরনের পাশাপাশি জাতীয় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।
এতদিন বৃহৎ এ উৎপাদন কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবারহ করা সম্ভব হয়নি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মিত না হওয়ায়। ফলে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিটের কখনো ১টি, আবার মাঝে মধ্যে ২টি ইউনিটই অর্ধেক লোডে চালিয়ে শুধু পশ্চিম জোনের ২১টি জেলার পূর্ণ চাহিদা মেটান হচ্ছিল। এতে গত ১০ মাস ধরে দেশব্যাপী লোডসেডিং-এর কোনো ছোয়া লাগেনি বরিশাল ও খুলনা বিভাগসহ ফরিদপুর অঞ্চলের ২১ জেলার পশ্চিম জোনে।
পায়রা থেকে বরিশাল-গোপালগঞ্জ হয়ে ১৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪শ’ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন সংযুক্তির ফলে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহে আর কোনো বাধা রইল না। বাংলাদেশ সরকার ও পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী-পিজিসিবি’র যৌথ অর্থায়নে প্রায় ২ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পায়রা-বরিশাল-গোপালগঞ্জ ৪ লাখ ভোল্টেজের ডবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনটি নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়ে ২০২৩-এর জুনের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। এ গ্রীড লাইনের বেশিরভাগ এবং গোপালগঞ্জে সাব-স্টেশনের নির্মাণ কাজ ইতোপূর্বে শেষ হলেও রামপাল-মোংলা-গোপালগঞ্জ হয়ে পদ্মা নদীর ওপর রিভার ক্রসিং টাওয়ার সহ ৯ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের দুরুহ কাজ সম্পাদনে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে।
তবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পরে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত থাকায় রোববার পর্যন্ত পায়রা’র ১টি ইউনিট সচল রেখে সেখান থেকে ৬শ’ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবারহ হচ্ছিল। খুব শিগগিরই রামপালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পরে সেখান থেকে মোংলা-গোপালগঞ্জ হয়ে আমীন বাজার পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হচ্ছে।
পায়রা’র দুটি ইউনিট থেকেও পূর্ণলোডে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। ফলে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পায়রার বিদ্যুৎ আমীন বাজার হয়ে জাতীয় গ্রীডে সরবারহ করা হবে বলে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তত্ববধায়ক প্রকৌশলী-অপারেশন শাহ আবুল হাসিব জানিয়েছেন।
চীনা কারিগরি সহায়তায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধনখালী ইউনিয়নে পায়রা নদী তীরে কয়লা ভিত্তিক ৬৬০ মেগাওয়াটের একক সর্ববৃহৎ দুটি ইউনিট থেকে ৪শ’ কেভি ডবল সার্কিট ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে ১৬৩ কিলোমিটার উত্তরে গোপালগঞ্জে বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের পাশে নির্মিত সাব-স্টেশনে পৌঁছছে। সেখান থেকেই মোংলা-গোপালগঞ্জ সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে তা ঢাকার আমীন বাজার হয়ে জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লি.-এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, আমরা বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছি। পরিবেশগত দিকবিবেচনা করে সবধরনের কারিগরি কাজ করা হয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপশি এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সদস্য এমএ সবুর রানা ইনকিলাবকে বলেন, পরিবেশ দূষণ ও সুন্দরবন ধ্বংস করে আমরা বিদ্যুৎ চাই না। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল্প রয়েছে, কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নেই। বিষয়টি সসবাইকে বিবেচনা করার দাবি জানান এই পরিবেশকর্মী।
পরিবেশকর্মী হাফিজুর রহমান বলেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড ও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবে। যার ফলে, পরিবেশ আইন ১৯৯৭-এ বেঁধে দেয়া পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার সীমার (প্রতি ঘনমিটারে ৩০ মাইক্রোগ্রাম) তুলনায় এইসব বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা অনেক বেশি হবে। (প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রামের বেশি) যার ফলে এসিড বৃষ্টি, শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতিসহ গাছপালা জীবজন্তুর জীবন বিপন্ন হবে। উৎপন্ন ছাই পরিবেশকে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করবে।
চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে পরিবেশবাদীদের প্রতিবাদের মধ্যে প্রথম ইউনিট উদ্বোধন করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তাপবিদ্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ