পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
প্রতি শীতের শুরুতে অথিতি পাখিদের আনাগোনা দেখা যায়। আমাদের দেশে শীতকালে যেসব পাখি অতিথি হয়ে আসে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বালিহাঁস, চখাচখি, রাজহাঁস, মানিকজোড়, গাংকবুতর, কবালি, যেনজি, প্রোভায়, নাইবাল, অনাইরাল ল্যাঙ্গি, ভোলাপাখি, চিনাহাঁস, হারিয়াল, বনহুর, বুরলিহাস, পিয়াংচিনা প্রভৃতি অন্যতম। প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের বাংলাদেশের দুই শ্রেণির পাখি রয়েছে। আবাসিক আর অনাবাসিক। এই আবাসিক ও অনাবাসিক মিলে এদেশে প্রায় ৬৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। যার মধ্যে ৩৬০ প্রজাতি আবাসিক, বাকি ৩০০ প্রজাতি অনাবাসিক। তীব্র শীতের কারণে অতিথি পাখিরা তাদের শীতপ্রধান দেশে যখন থাকতে পারে না, তখন আশ্রয় ও চরম খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো থেকে অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে চলে আসে। এসব অতিথি পাখি মূলত একটু উষ্ণতা, আর্দ্রতা ও সবুজ-শ্যামলিমার স্নিগ্ধতা উপভোগ করতে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে আসে। এদেশের কিছু অসাধু ব্যক্তি সামান্য মুনাফার লোভে আজকাল অতিথি পাখি শিকার করে। অথচ, পাখি শিকার দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ। পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দণ্ড বা উভয় দণ্ড। একই অপরাধ বারবার করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো আইন থাকলেও তা কার্যকর হতে খুব কমই দেখা যায়। তাই আমাদের সকলেরই এ ব্যাপারে সচেত হওয়া উচিত। নিজেরা পাশি শিকার করব না, অন্যরাও যাতে শিকার না করে সে ব্যাপারেও যার যার অবস্থান থেকে নিরুৎসাহী করতে উদ্যোগী হবো, এটাই প্রত্যাশা।
মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান
শিক্ষার্থী, উত্তর বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।