Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কর কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি

ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে রাজস্ব আহরণে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ পর্যন্ত পাঁচ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোঁ জিডিপির মধ্যে রাজস্ব আহরণের গড় ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। আর এ সময়ের মধ্যে রাজস্ব আদায়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নেপাল। ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নেপালের রাজস্ব আদায়ের গড় হার ২২ দশমিক ১ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২০১৮ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে আরও বলা হয়, এই পাঁচ অর্থবছরে ভারত গড়ে ২০ দশমিক ১ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তান। দেশটি ওই সময়ে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করে। চতুর্থ অবস্থানে আছে শ্রীলংকা। এ সময় দেশটির রাজস্ব আহরণের হার ১৩ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে বাংলাদেশ। নেপালের ২০১২-১৩ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের হার ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

আমাদের দেশে কোনো বছরই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয় না। এর পেছনে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারণগুলো হলো: উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা, কর পরিসর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জরিপ কার্যক্রমে পদ্ধতিগত সমন্বয়হীনতা ও দীর্ঘসূত্রিতা, আন্তকর ব্যবস্থাপনায় তথ্য বিনিময়ের অপ্রতুলতা, দক্ষ জনবলের স্বল্পতা ও ভৌত অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় সুবিধার অভাব। প্রতি বছর বাজেটে রাজস্ব আদায়ের একটি উচ্চমাত্রার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। কিন্তু বছর শেষে দেখা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না এনবিআর। তখন লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে কমানো হয়। সেটাও আদায় করতে পারে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজস্ব আদায়ের এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রাকে এক ধরনের সমস্যা হিসেবে অভিহিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। আইআরডির তথ্যমতে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২ লাখ ১৮ হাজার ৪০৬ কোটি ৫ লাখ টাকা, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২১-মার্চ ২০২২) রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৬৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর আওতাধীন রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এটি কাঁছাঁট করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে এনবিআর-এর আওতাধীন রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে রাজস্ব ঘাঁতি হয়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা (এনবিআর ৩,০০,৫০০ কোটি টাকা ও নন-এনবিআর ১২,৫৬৭ কোটি টাকা)। অর্থ বিভাগের হিসাবে, এর বিপরীতে মোঁ রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (এনবিআর ২,৮০,০০০ কোটি টাকা ও নন-এনবিআর ৯,৬০০ কোটি টাকা) সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা (এনবিআর ২,১৮,৬১৬ কোটি টাকা ও নন-এনবিআর ৭,৩৪২ কোটি টাকা)।

বাজেটে ঘোষিত রাজস্ব আদায়ের মূল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা আবশ্যক। ব্যবস্থাপনার অটোমেশন, সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং কর ব্যবস্থাপনার গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখাাঁ চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে সংস্থাটির হিসাবে, কর-জিডিপি অনুপাত বেড়েছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ৮ দশমিক ৫। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৬৩। সর্বশেষ ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৯। চলতি অর্থবছরে সঞ্চয় স্কিমের মাধ্যমে ঘাঁতি বাজেটে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে। অটোমেটেড সিস্টেমে ৫০ হাজার ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ। ৭ হাজার ইএফডি/এসডিসি মেশিন স্থাপন এবং ই-টিডিএস সিস্টেমে ৪ হাজার ৫০০ কর্তনকারী কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে আইআরডি। বাংলাদেশে জিডিপি ছিল ২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। আমরা যদি ২০২০ সালের আগের পাঁচ বছরের দিকে নজর দেই, তাহলে দেখা যাবে, প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে রাজস্ব আদায়ের পরিবেশ অত্যন্ত নাজুক। নেপাল একটি ছোঁ দেশ। সেটিও রাজস্ব জিডিপিতে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। যেমনÑ ২০১৯ সালে নেপালে কর জিডিপির হার ছিল ২৬ দশমিক ০২ শতাংশ, একই সময়ে বাংলাদেশে ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতে ছিল ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত ২০২০ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোর গড় রাজস্ব প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২৫ দশমিক ০৬ শতাংশ, ২০১৯ সালে ছিল ২৫ দশমিক ০৩ শতাংশ, ২০১৮ সালে ২৬ দশমিক ০১ শতাংশ। যাহোক, বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে ঠিকই, তবে আশানুরূপ গতিতে বাড়ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব খাতে প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশে পৌঁছালেও করোনার কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক ধাক্কায় কমে আসে ৪ দশমিক ০২ শতাংশে।

উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১-এর রোডম্যাপ বা পথচিত্র তৈরি করা হয়েছে। আগামী ২০ বছরের জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথাও বলা হয়েছে। ওই সময়ে বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, আর কর জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ শতাংশ। এমতাবস্থায়, রাজস্ব আহরণের গতি অবশ্যই বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিশ্বব্যাপী আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন অতিরিক্ত বিনিয়োগ দরকার। আর বাংলাদেশের দরকার ৯২৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রতি বছর অতিরিক্ত ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ লাগবে। ব্যাপক এই বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার করে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতাও বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। এর মধ্যে আয়কর দেয় মাত্র সাড়ে ১৭ থেকে ১৮ লাখ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জরিপ অনুযায়ী, আয়কর দিতে সক্ষম প্রায় এক কোটি লোক। বিপুল সংখ্যক লোক এখনো করের আওতার বাইরে। উল্লেখ্য, আমাদের দেশে সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো রাজস্ব খাত। সেটা আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে। চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে রাজস্ব প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫৮ দশকিক ১ শতাংশ আর করবর্হির্ভূত খাত থেকে প্রাপ্তি ধরা হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতায় সর্বাধিক রাজস্ব আসে মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাঁ) থেকে। আর এই ভ্যাঁ ফাঁকির প্রবণতা সব চেয়ে বেশি। প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ভ্যাঁ ফাঁকি দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে রাজস্ব বা আয়কর না দেয়ার একটা প্রবণতা তো আছেই। সক্ষম করদাতাদের মধ্যে কর না দেয়া যেন মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, বড় বড় করদাতা কর প্রদানে নানা টালবাহানা করে, এক পর্যায়ে তারা আদালতের আশ্রয় নেয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, উচ্চ আদালতে রাজস্ব সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি, যার বিপরীতে রাজস্বের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা। সক্ষম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর না দেয়া, কর প্রদানে টালবাহানা, রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা বেড়েই চলছে। এটি দেশের জন্য ইতিবাচক নয়। বিশ্বের উন্নত দেশ বা প্রতিবেশী স্বল্পোন্নত দেশেও করদাতারা স্বেচ্ছায় বা স্ব-উদোগে কর দিয়ে থাকে। তারা কর দেয়াকে নাগরিক দায়িত্ব বলে মনে করে। তারা আরো মনে করে, সরকারকে রাজস্ব দেয়া একটি সম্মানজনক বিষয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে থাকে এবং করদাতাদের কর দিতে নানা উদ্যোগও নিচ্ছে। তবে বোর্ডের কিছু আইনি জটিলতাও আছে। যার কারণে রাজস্ব বোর্ড ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী অনেক পদক্ষেপ নিতে পারে না। তাদের আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারে না।
জনবল সঙ্কটের মুখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রয়োজনীয় জনবলও নিয়োগ দিতে পারে না। রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১০ হাজারের অধিক জনবল তাদের প্রয়োজন যা ইতঃপূর্বে সরকারের ঊর্ধ্ব মহলকে জানানো হয়েছে। বোর্ড জনবল সঙ্কটের কারণে সমস্যায় আছে বলেও জানা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেহেতু বোর্ড সরাসরি সরকার বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন। এমতাবস্থায়, করব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন নামে একটি রাজস্ব কমিশন গঠন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। ইতঃপূর্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদদের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছিল। অর্থনীতিবিদদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী রাজস্ব ও ব্যাংকিং খাতে আলাদা দু’টি কমিশন গঠনের কথাও বলেছিলেন। মন্ত্রী বলেছিলেন, ফিন্যান্সিয়াল দিকগুলো দেখার জন্য একটি, রাজস্বের বিষয়গুলো দেখার জন্য আরেকটি, অর্থাৎ পৃথক দু’টি কমিশন গঠন করা হবে। কিন্তু এখনো সরকার সে বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজধানী ঢাকায় এমন অনেক ফ্ল্যাট আছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন করা হয় না। রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি এত বেশি যে, কেউ রেজিস্ট্রেশন করবে না। আমরা যদি এসব বিষয়ে একটু সহনশীল হই, তাহলে অনেক লাভ হবে।’ রাজধানী ঢাকায় বাড়ি ও ফ্ল্যাটের সংখ্যা কত, এর কোনো হিসাব নেই। বাড়ি-গাড়ির সংখ্যা বেড়েই চলছে। যারা বাড়ি-গাড়ির মালিক, তাদের কর দেয়ার সক্ষমতা আছে। কিন্তু তারা করজালের বাইরে রয়েছে। তাদের করের আওতায় আনা দরকার, দরকার এ বিষয়ে জরিপ চালানো এবং কর দিতে জনগণকে উৎসাহিত করা। জনবল সঙ্কটে হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক, তাদের করের আওতায় আনা যাচ্ছে না। এক কথায় বলতে গেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানা সমস্যায় রয়েছে। এমতাবস্থায়, রাজস্ব বাড়াতে একটি স্বাধীন ‘স্বাধীন রাজস্ব কমিশন’ গঠন করা অত্যন্ত জরুরি। সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে বলে একজন সাবেক কর কর্মকর্তা হিসেবে আমি মনে করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি রাষ্ট্রের রাজস্ব উন্নয়ন হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন বেগবান হবে। প্রত্যেক নাগরিককে রাজস্ব দিতে উদ্বুদ্ধ করা সরকারের পলিসিগত একটি নৈতিক দিক। এরজন্যে চাই স্বাধীন রাজস্ব কমিশন। ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করা যেতে পারে। এবিষয়টি অবশ্যই সরকারের আমলে নেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

লেখক: সাবেক কর কমিশনার ও পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোঃ লিঃ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন