মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
টানা ১০ মাস ধরে রুশ আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেন তার রাজধানীতে নতুন করে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা করছে। এমনকি দেশটির দাবি, কিয়েভে হামলা চালাতে নতুন করে ২ লাখ সেনা প্রস্তুত করছে রাশিয়া। -এএফপি
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টকে সাক্ষাৎকার দেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে রাজধানী কিয়েভে নতুন করে রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন তিনি।
মূলত আগ্রাসন শুরুর ১০ মাসের মাথায় এসে সম্প্রতি বেশিরভাগ যুদ্ধ এখন ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। তবে জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি প্রভাবশালী এই ব্রিটিশ সাপ্তাহিককে বলেছেন, রাজধানী কিয়েভ আবারও রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে। গত ৩ ডিসেম্বর দ্য ইকোনমিস্টকে সাক্ষাৎকার দেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি। আর সেটি প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এখন ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত একটি কাজ হলো রিজার্ভ তৈরি এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা। যা ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত হতে পারে, মার্চে সর্বোত্তম এবং জানুয়ারির শেষে সবচেয়ে খারাপ ভাবে সংঘটিত হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া প্রায় ২ লাখ নতুন সৈন্য প্রস্তুত করছে। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে তারা কিয়েভে আরও হামলা করবে। আমরা সব হিসাব করে ফেলেছি - আমাদের কত ট্যাংক, আর্টিলারি দরকার এবং আরও অনেক কিছু। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দ্রুত কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে ইউক্রেনে সামরিক বাহিনী পাঠায় মস্কো। তবে মার্চ মাসজুড়ে এবং এপ্রিলের শুরুতে রুশ সেনারা এই অঞ্চল থেকে চলে যাওয়ার আগে তাদেরকে রাজধানী কিয়েভ থেকে বহু দূরেই আটকে রাখতে পেয়েছিল ইউক্রেনীয় সেনারা। এটি ছিল কার্যত ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিজয়।
এরপর গত সেপ্টেম্বরে উত্তর-পূর্বের খারকিভ অঞ্চল থেকে রাশিয়ানদের পিছু হটতে এবং গত মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন রুশ সেনাদের সরে যেতে বাধ্য করে ইউক্রেন। এখন মূলত ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধ চলছে। জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যুদ্ধের সম্মুখ সমরের লাইনটি ধরে রাখা এবং রাশিয়ার কাছে আর কোনও ভূখণ্ড না হারানো।
জালুঝনির মতে, একের পর এক অপমানজনক ব্যর্থতার পর রাশিয়ান সেনারা গত অক্টোবর মাস থেকে জ্বালানি অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ করছে কারণ আগামী মাসগুলোতে আরও বিস্তৃত পরিসরের আক্রমণের জন্য ‘তাদের সম্পদ সংগ্রহের সময় প্রয়োজন’। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর এই কমান্ডার-ইন-চীফ বলছেন, আমি জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নই তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা একটি কিনারায় আছি। কারণ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রিড ধ্বংস করে দেওয়া ‘সম্ভব’ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের ওপর রাশিয়ার সিরিজ আক্রমণ ইতোমধ্যেই দেশটিজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি করেছে। লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে শীতের তীব্র ঠান্ডা এবং অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। জেনারেল জালুঝনি বলছেন, আমি জানি আমি এই শত্রুকে পরাজিত করতে পারি। কিন্তু আমার সম্পদ দরকার। তার ভাষায়, ‘আমার ৩০০টি ট্যাংক,৬০০-৭০০ আইএফভিএস (পদাতিক যুদ্ধের যান) এবং ৫০০ হাউইৎজার দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।