পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
দেশের রজনীতিবিদগণ প্রায়ই ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ও ‘চেতনা’ শব্দ দুটি ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন বক্তা ও আলোচক বেশ আবেগ নিয়ে এ শব্দ দুটি উচ্চারণ করেন। মূলত চেতনা বলতে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ কর্তৃক পরিচালিত সংগ্রামকেই বুঝানো হয়ে থাকে। পাকিস্তানি শাসকেরা তাদের স্বাধীনসত্তাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। শাসকদের বিমাতাসুলভ আচরণে পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ও সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়েছিল। পাকিস্তানিদের নানা জুলুম ও অত্যাচারের কারণে তাদের বিরুদ্ধে মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিল। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল। পাকিস্তানি জান্তা সরকার পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝে বৈষম্যের এক প্রাচীর নির্মাণ করেছিল। সরকারি বড় বড় পদগুলোতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালিদের অবহেলা করতো। কর্তৃত্বের ক্ষেত্রেও বাঙালিদের অবমূল্যায়ন করতো। বাঙালিদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাতো। তাদের শোষণ আর বঞ্চনার কারণে বাঙালিরা নিজেদের দেশের দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করতো।
এমতাবস্থায় বাঙালিরা নিজেদের স্বকীয়তা রক্ষায় প্রথমত স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করে। পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামোর ভেতরে থেকেই নিজেদের শাসন পরিচালনা করবে মর্মে আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সেই দাবি দমিয়ে রাখতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে। বাঙালিরা বুঝতে পারে যে, স্বকীয়তা রক্ষা, বৈষম্যের অবসান এবং নানা ধরনের সামাজিক অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য তাদের একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রকাঠামো প্রয়োজন। যার শাসন ও পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে নিজেদের হাতে। বাঙালিদের কাছে এটা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ তখন খোলা ছিল না। বাঙালি জাতি হাতে অস্ত্র তুলে নেয়। শুরু হয় পাকিস্তানি জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম। যুদ্ধ স্থায়ী হয় দীর্ঘ ৯ মাস। এ যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান ভূখণ্ডের পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং সেখানে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অভ্যুদয় হয়। মুক্তিযুদ্ধের এ চেতনা ধারণ করার কারণে সদ্য স্বাধীন দেশটির নাম রাখা হয় ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, যার অর্থ হলো দেশের জনগণের নিজেদের শাসন করার অধিকার নিশ্চিত থাকবে। যেখানে তাদের বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা তারা লালন করবে। সব ধরনের বৈষম্য থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে মুক্ত রাখবে।
তার মানে হলো, বাংলাদেশ হবে জনগণের দেশ। সেদেশের পরিচালকবৃন্দ হবেন গণতান্ত্রিকভাবে জনগণ কর্তৃক স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধি। আর দেশের সমাজ হবে সবধরনের শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত ন্যায়বিচারভিত্তিক। এটাই হলো আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। এ চেতনার বিষয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনাতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত প্রস্তাবনাতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’ এছাড়া সংবিধানের প্রথম ভাগে প্রজাতন্ত্রের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, “বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত হইবে। প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্ব কার্যকর হইবে।” (বাংলাদেশ সংবিধান, প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র, ৭ /১)।
এ তথ্য এটাই প্রমাণ করে যে, দেশের জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। জনগণ তাদের মতো করেই তাদের দেশের শাসনভার পরিচালনা করবে। অবশ্য দেশের সকল মানুষের পক্ষে রাষ্ট্রীয় নিত্য কার্যাদী পরিচালনা করা সম্ভব নয়। একাজে শতভাগ জনগণের সম্পৃক্ততাও কঠিন ব্যাপার। সে কারণে সংবিধান দেশের জনগণকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার ক্ষমতা দিয়েছে। সাংবিধানিক এ ক্ষমতাবলে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। নির্বাচিত এ প্রতিনিধিদের একটি অংশ জনগণের পক্ষে ক্ষমতা প্রয়োগ করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। অন্য অংশটি জনগণের হয়ে দেশ পরিচালনাকারীদের ভুলত্রুটি সংশোধন করবে; স্বেচ্ছাচারী শাসকদের জবাবদিহি করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সংসদীয় প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে পারস্পারিক সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করবে। তারা বিভিন্নভাবে জনগণের মতামত তুলে ধরে শাসনকার্যে দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। অর্থাৎ জনগণ শুধু সরকার গঠনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; তারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায়ও অংশগ্রহণ করবে।
উন্নত বিশে^র প্রায় সকল দেশেই এ ব্যবস্থার কার্যকারিতা লক্ষণীয়। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বর্তমানে এ শাসন ব্যবস্থাই চলমান রয়েছে। এ পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নের প্রথম শর্ত হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নির্বাচনের পর সবচেয়ে যেটি বেশি প্রয়োজন, সেটি হলো কার্যকর একটি সংসদ। এ সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি অনস্বীকার্য। কোনো দেশ যখন সঠিক গণতন্ত্রের উপর পরিচালিত হয়, তখন সেদেশে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত থাকে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকে না। সেখানে সম্পদের সুষম বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকে। অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচারের শিকড় মূলোৎপাটিত হয়। মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়।
আমাদের দেশের স্বাধীনতার বয়স মোটেই কম নয়। ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের এ দেশটির স্বাধীনতার বয়স ৫১ বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু দেশটির গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার চিত্র মোটেই সুখকর নয়। গণতন্ত্রের ধারা মাঝে মাঝেই বিঘ্নিত হয়েছে। ১৯৯১ সালে দেশ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসে। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে দেশে আবার গণতন্ত্রের ধারায় বিঘ্ন ঘটে। কারণ, এ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি ছিল অতি হাস্যকর। এ নির্বাচনটি ছিল ভোটারবিহীন নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। এ ছাড়া পূর্বনির্ধারিত ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল মর্মে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালেও একইভাবে ভোটারবিহীন হাস্যকর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নির্বাচনটি সাংবিধানিক গণতন্ত্রে শেষ পেরেকটি মেরে দিয়েছিল। অধিকাংশ সংসদ সদস্য বিনাভোটেই নির্বাচিত হয়েছিল। জনগণ ক্ষমতার মালিক হলেও তারা কাউকেই রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নির্বাচিত করেনি। অথচ, বিনাভোটে নির্বাচিতরা বিগত প্রায় এক দশক যাবত দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন; যা কখনও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
দেশের গণতন্ত্র এখন লুটপাটতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পৈত্রিক সম্পদে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে দেশে গুম ও খুনের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। দেশ থেকে একদিকে গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে, অন্যদিকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার কবরস্ত হয়েছে। ফলে দেশ আজ গভীর সংকটে নিপতিত হয়েছে। তথাপিও রাজনীতিবিদদের গলাবাজি চলমান রয়েছে। ক্রমেই রাজনৈতিক মাফিয়াদের অসভ্য চেহারা ভয়ংকররূপে প্রকাশ পাচ্ছে। ‘নাই নাই খাই খাই’ অবস্থা তাদের সার্বক্ষণিকভাবে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তারা দ্রুত বড় লোক হবার নেশায় আখের গুছাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। করোনার অর্থনৈতিক দুঃসময়েও দেশে বিত্ত বৈভব বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বিদেশে বাড়ি নির্মিত হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। কৃষক, শ্রমিক আর মজুররা বরাবরের মতো উপেক্ষিত থেকেই চলেছে। গত ১৪ বছরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। ক্ষমতাসীনরা সাধারণ জনগণের কথা বেমালুম ভুলে গেছে।
দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস হবার পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরেও গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশ ও দলে গণতন্ত্র চর্চার পরিবর্তে গোষ্ঠিতন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলীয় পদে নমিনেশন পেতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কোটি কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেয়া লাগছে। টাকার বিনিময়ে পদে আসীন হয়ে নেতাজি টাকার নেশায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ছেন। নীতিহীন ব্যক্তিবর্গই প্রতিদিন আমাদের সততার নসিহত করে চলেছেন। তারাই আবার গণতন্ত্রের প্রবক্তা সেজে গণতন্ত্রের ফেরি করে বেড়াচ্ছেন! এতসব কারণে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাস্তবিকই আমরা আমাদের একাত্তরের বিজয়ে এক কালো ছায়া লেপটে দিয়েছি সেই বহুদিন আগেই। আজ পর্যন্ত সেই কালো ছায়াকে কেউ মুছে দিতে পারিনি। এখন রাজনীতি মানেই হলো চাপাবাজি, ধান্ধাবাজি ও ভোটচুরি। রাজনীতি মানেই হলো জোর-জালিয়াতি করে ক্ষমতায় যাওয়া। সাধারণ জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বড় লোক হওয়া। এ কারণে সাধারণ জনগণ রাজনীতিকদের থেকে আজ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
আজ আমরা অস্থির রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থার যাতাকলে নিষ্পেসিত হচ্ছি, যা আমাদের ’৭১ এর স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। এতসব অসংগতির মাঝেও আমরা উন্নয়নের মিথ্যা ফানুসে গদগদ হচ্ছি। উন্নয়নের ভ্রান্তিবিলাসে আমরা গা ভাসিয়ে দিচ্ছি। ’৭১ কে পুঁজি করে আমরা অনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘৃণ্যপথ অবলম্বন করছি। জনগণের মনের ভাষা বুঝেও না বুঝার ভান করছি। গায়ের জোরে তাদের নিরবে নিস্পেষণ করে চলছি। বিগত দেড় দশকে আমরা রাজনীতিতে বুঝেশুনেই ভ্রান্তনীতি অবলম্বন করেছি। আর সে ভুলনীতির উপর আমরা এখনও অটল রয়েছি। অথচ, আমাদের মাঝে প্রকৃত ও ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকলে আমরা রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে একটি টেকসই নীতির উপর দাঁড় করাতে সক্ষম হতাম। দেশে দ্বিদলীয় শাসনব্যবস্থাকে আমরা কবর রচনা করেছি। আমাদের সামাজিক জীবন ভদ্রতাবিহীন এক নির্জিব কাঠামোতে রূপায়িত হয়েছে। নেতাদের মতান্তর আজ মনান্তর ও বিভেদে রূপ নিয়েছে। দেশের চিরায়ত কালচারও আজ হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। একে অপরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে।
২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও বিরোধীদলকে আপোসহীন থাকতে দেখা যাচ্ছে। নিজেদের লক্ষ্যপানে পৌঁছতে তারা লাঠির শক্তি ব্যবহার করছে। এটা কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশের চিত্র হতে পারে না। বিরোধীদল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। সরকার সে দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যাান করে আসছে। নির্বাচনী ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীনদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। ক্ষমতা একতরফা ও নিরঙ্কুশ হওয়ায় সমাজে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমাজ ও পেশার সকল স্তরে সহিংসতা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রেও ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশের প্রশাসনিক সকল প্রতিষ্ঠান অকেজো ও স্বেচ্ছাচারী হয়ে পড়েছে। প্রশাসন ভয়ানক নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। সরকারি দলের লোকজন ব্যতীত অন্য সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বলা বাহুল্য, এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হওয়ার জন্য এদেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেনি।
লেখক: কলামিস্ট ও অধ্যাপক, দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।