পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা ও ভীতি-আতংকের মধ্য দিয়ে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে। এই সমাবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই বিজয় বলে দাবি করেছে। হ্যাঁ, এ ক্ষেত্রে উভয়েরই বিজয় হয়েছে। বিএনপি তার টার্গেট অনুযায়ী ও বহুদিনের অভ্যাস মতে নয়াপল্টনের পার্টি অফিসের সামনে এই সমাবেশ করতে পারেনি সরকারের বাধার কারণে। তাই সরকারের বিজয় হয়েছে। অন্যদিকে, শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও ভিন্ন ভ্যেনুতে ও স্বল্প সময়ের নোটিশে বিএনপি লাখ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটাতে পেরেছে। উপরন্তু এই সমাবেশের খবর ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব মিডিয়ায়। তাই এ ক্ষেত্রে বিএনপির বিজয় হয়েছে। তবে, দেশ হেরেছে তথা দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বহিঃবিশ্বে। সমাবেশ পণ্ড করার জন্য সরকার নানা অপতৎপরতা ছাড়াও পুলিশ গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে যে নারকীয়তা চালিয়েছে, তাতে সমগ্র দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীও স্তম্ভিত হয়েছে। বহু পুলিশ ঐদিন বিএনপির অফিসে জোরপূর্বক ঢুকে সব কিছু তছনছ করেছে ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে দলটি দাবি করেছে। এ ব্যাপারে মিডিয়াতেও সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উপরন্তু দলটির অনেক শীর্ষ নেতাসহ বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে অফিসের ভেতর থেকে। অফিসের বাইরেও রাস্তায় ব্যাপক গুলি ও টিয়ার ছোড়া হয়েছে, যাতে একজন নিহত হওয়াসহ বহুজন আহত হয়েছে। দলটির মূল ফটকে পুলিশ তালা লাগিয়ে রেখেছিল ৪দিন। এসব কারণে দেশের ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক এক যৌথ বিবৃতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুলিশের খবরদারি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন। গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বিএনপির অফিসে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত অফিস পরিদর্শন করে এলডিপির শীর্ষ নেতা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘একাত্তরে পাকহানাদার বাহিনীও কোনো রাজনৈতিক অফিসে এমন বর্বরতা চালায়নি।’ ২০ দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বিএনপি অফিসে পুলিশি তাণ্ডব ফ্যাসিবাদের নমুনা! জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দেশি-বিদেশি ১২টি মানবাধিকার সংগঠন এবং ইইউ ও ১৪টি দেশের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতরা চরম নিন্দা, সকলের অবাধে সমাবেশ করার অধিকার বন্ধ না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এতে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য হুমকি স্বরূপ! এটা বুঝতে পেরে সরকার গত ৭ ডিসেম্বরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরে ঢাকাস্ত সব দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এতে দেশের ভাবমর্যাদা পুনরুদ্ধার হয়নি, বরং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে! যা’হোক, সমাবেশ করার অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে সম্প্রতি জাতিসংঘ ও মার্কিন বলয়ের দেশগুলোর সাথে সরকারের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে সরকারের সম্পর্ক খারাপ হলে সরকারের পাশাপাশি দেশেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ইতোপূর্বে ঢাকাস্থ জাপানী রাষ্ট্রদূত ২০১৮ সালে দিনের ভোট আগের রাতে হয়েছে বলাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। অনেকের মতে, এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্ধারিত জাপান সফর স্থগিত হয়েছে। জাপান এ দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। এই সফরেও বাংলাদেশের পক্ষে বিশাল ডিল হওয়ার কথা ছিল।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে দলটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় ৭ জন এমপি সংসদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। পরের দিন ৫ জন এমপি স্পিকারের কাছে উপস্থিত হয়ে ৭ জনের পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্পিকারও বলেন, ‘আমি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। ওই আসনগুলো এরই মধ্যে শূন্য হয়েছে। এর পর পরই ইসি আলমগীর বলেন, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের গেজেটের ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অতঃপর সেদিনই ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। অর্থাৎ সব কিছুই খুব দ্রুত হয়েছে। অথচ, জাপার এমপিরা সংসদীয় বিরোধী দলের নেতা পরিবর্তন করার লিখিত আবেদন করেছেন অনেক দিন আগে। কিন্তু সেটা এখনো মঞ্জুর হয়নি। অর্থাৎ সরকার বিএনপির প্রতি হার্ড লাইন আর জাপাকে গৃহপালিত বিরোধী দল হিসেবে ধরে রাখার কৌশল অব্যাহত রেখেছে। যা’হোক, বিএনপির ঐ সমাবেশ থেকে জাপার এমপিদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু নিশিরাতের ভোটে গঠিত সংসদীয় বিরোধী দল হওয়ার সুবাদে জাপা সরকারের লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করে স্বর্গচ্যুৎ হওয়ার ঝুঁকি নেবে বলে হয় না। ইতোমধ্যেই তা জানিয়েও দিয়েছেন দলটির মহাসচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে গত ১৪ ডিসেম্বর রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তখন জিএম কাদের বলেন, জাপা প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সংসদ ও সংসদের বাইরে গঠনমূলক ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাবে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী জাপাকে আরও শক্তিশালী হতে পরামর্শ দেন। স্মরণীয় যে, জাপা-আ’লীগ সখ্য জে. এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই। তাই এরশাদকে একদা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয়েছিল। ওদিকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে গণফোরামের ২ এমপি ও ১ স্বতন্ত্র এমপি সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে মনে হয় না। সরকারের সেতুমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলেও জাতীয় সংসদের কিছু যায়-আসে না। তাদের সাতজন চলে গেলে সংসদ অচল হবে না। হ্যাঁ, এটা ঠিক। কিন্তু বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের কারণে সংসদের প্রতি মানুষের যেটুকু আস্থা ছিল, তাও শেষ হবে। দ্বিতীয়ত স্বল্প সময়ের জন্য এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে উক্ত শূন্য আসনে নির্বাচন করা হলে তা অটোপাস বা ভোটারহীন হবে!
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে, যা সমমনা দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই প্রণীত হয়েছে। তাই এ পর্যন্ত ৩২টি দল ও জামায়াত ১০ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চও এ ১০ দাবিসহ ১৪ দাবি ঘোষণা করেছে। বিএনপির ১০ দাবির অন্যতম হচ্ছে: অবিলম্বে সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বিধান বাতিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল, সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা, সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, ন্যায়পাল ও সাংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, ইসি পুনর্গঠন, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি ও কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং শিশুশ্রম বন্ধ করা, খালেদা জিয়াসহ সকলের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানিসহ সেবামূলক খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল, রেন্টাল-কুইক রেন্টাল প্রকল্পে দেওয়া দায়মুক্তি আইন বাতিল, গত ১৫ বছরের সব গুম খুন ও দুর্নীতিসহ সব অপরাধ চিহ্নিত করার জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করা ইত্যাদি। আওয়ামী নেতারা বলেছেন, বিএনপির ১০ দফা দাবি পুরনো। এর সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক ও স্বার্থ নেই। কাজেই গুরুত্ব দেওয়ারও কিছু নেই। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সমমনা সব দলকে নিয়ে ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা সদরে গণমিছিল করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ যুগপৎ আন্দোলন সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য সকলের সমঝোতার ভিত্তিতে অচিরেই বিএনপির নেতৃত্বে কেন্দ্রসহ সারাদেশে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা দরকার। দ্বিতীয়ত আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিল যুগপৎ আন্দোলনের যাত্রা শুরু। তাই এটি টেস্ট কেস। এতে তারা সফল হলে পরবর্তী সব কর্মসূচি ব্যাপক সফল হবে। আর এদিন ফ্লপ করলে পরবর্তী কর্মসূচিগুলোও ফ্লপ করবে। তাই গণমিছিলের কর্মসূচিতে দেশের সব শ্রেণির বিপুল সংখ্যক মানুষকে সম্পৃক্ত করা দরকার। উল্লেখ্য যে, ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ঢাকায় জাতীয় সম্মেলন থাকায় ঐদিন ঢাকায় গণমিছিল না করার জন্য অনুরোধ করেছে দলটি। তাই গণমিছিল নির্ধারিত দিনের একদিন আগে-পরে হতে পারে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপিসহ ৪০টি দল আন্দোলন করছে বহুদিন থেকে। তাদের সাথে বিএনপি ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করেছে। তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পুনঃচালু, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনে জয়ী হলে আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্র রূপান্তরের ২৮ দফা রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যার অধিকাংশই সংস্কার তথা দেশ পরিচালনার সিস্টেমের ব্যাপক পরিবর্তন সম্পর্কিত, যা বাস্তবায়ন করা জরুরি। কারণ, এতদিন শুধু নেতার পরিবর্তন হয়েছে, সিস্টেমের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে প্রেসিডেন্টের একক কর্তৃত্বের স্থলে প্রধানমন্ত্রীর একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাতে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফলে মানুষের কোনো কল্যাণ হয়নি। তাই মানুষের কল্যাণের জন্য সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে। সেটা হলে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত, সব ধরনের অপরাধ ও আয় বৈষম্য হ্রাস এবং একনায়কতান্ত্রিকতার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এতে দেশের সব ক্ষেত্রেই স্থায়ী কল্যাণ হবে। যা’হোক, বিএনপি ও সমমনা দলের বাইরে আরো অনেক দল সরকার বিরোধী আন্দোলন করছে। যেমন: বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এসব সরকার বিরোধী দল একত্র হলে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে। বিশেষভাবে লক্ষ করার বিষয়, এখন বিএনপির সব মিছিল-মিটিংয়েই ব্যাপক লোক সমাগম হচ্ছে। বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো তো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের নজিরবিহীন বাধা সত্ত্বেও মানুষের ঢল বন্ধ হয়নি। সরকারের দুঃশাসন থেকে মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যেই মানুষ বিএনপির গণসমাবেশে হাজির হয়েছে।
অবশ্য, আওয়ামী লীগেরও সমাবেশে ব্যাপক লোক হচ্ছে। ১৪ দলকেও পুনরায় সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। সর্বোপরি নেতারা মাঠ দখলে রাখার হুংকার দিয়ে তা বাস্তবায়ন করছেন। আমাদের দেশে ক্ষমতাসীনদের সভা-সমাবেশে লোকের কোনো অভাব হয় না। কেন হয় না, সবারই জানা। আবার ক্ষমতা থেকে গেলে দলের অফিসে মোমবাতিও জ্বালানোর লোক পাওয়া যায় না, এটাও সত্য। তবুও রাজনীতিবিদরা তা ভুলে যান। মনে করেন, আজীবন ক্ষমতায় থাকবো। যা’হোক, বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যাবে, তা এখনই বলা কঠিন। এজন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।