পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের কোন ব্যক্তি আওয়ামী লীগের হাল ধরতে পারেন, এমন আলোচনা কখনো কখনো রাজনৈতিক মহলে শোনা যায়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা কখনোই হয়নি, কিন্তু অনেকেই মনে করেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ, যিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেন, তিনি ভবিষ্যতে দলের হাল ধরতে পারেন। আবার বরাবরই রাজনীতির বাইরে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার কথাও কারো কারো আলোচনায় আসে। কিন্তু এ নিয়ে ওই পরিবারের কোনো সদস্যের মনোভাব কখনো জানা যায়নি। কিন্তু এবার শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট জামাতা এবং শেখ রেহানার স্বামী ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক বললেন, শেখ রেহানা যদিও রাজনীতিতে আসতে অনিচ্ছুক, কিন্তু প্রয়োজন ও সময় হলে তিনি রাজনীতিতে আসতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিদ্দিক মনে করেন সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে এলে ভালো করবেন। কিন্তু তিনি রাজনীতিতে আসবেন কি না সেটি জয়ের সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন জনাব সিদ্দিক। তবে রাজনৈতিক দলকে সরকারের কাছ থেকে আলাদা রাখার গুরুত্ব উল্লেখ করে ড. সিদ্দিক আরো বলেন, ‘জয় (সজীব ওয়াজেদ) সরকারে ভালো করবেন, রেহানা পার্টিতে ভালো করবেন’।
বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের এক টক শোতে হাজির হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। যদিও এগুলোকে একান্তই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বাংলাভিশনের ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ নামের সংবাদ পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটি গত রোববার মধ্যরাতের পর সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানের এ পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল ‘নির্বাচন কমিশন গঠন’, কিন্তু উপস্থাপক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ড. সিদ্দিককে জিজ্ঞেস করেন, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা (শেখ রেহানা) কিংবা এই পরিবারের অন্য কারো অন্তর্ভুক্তির বিষয়কে তিনি কিভাবে দেখছেন।
ড. সিদ্দিক জবাবে সজীব ওয়াজেদকে মডার্ন এবং ডিজিটাল যুগের ছেলে হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার মতে জয় খুব খারাপ করবে না পলিটিক্সে, স্পেশালি সরকার চালানোর ব্যাপারে’।
ড. সিদ্দিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সাথে যারা রাজনীতি করেছেন তাদের নিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে হাসিনা আপা প্রথম দিকে কিন্তু একটু ডিফিকাল্টি ফেস করছিলেন। তারপর হাসিনা আপা নিজের টিম গঠন করেছেন।..... শেখ হাসিনা যেমন চাচাদের ছেড়ে নিজেদের লোক বেছে নিয়েছেন, জয়ের সময়েও দেখবেন মামাদের..... কিছুসংখ্যক বিদায় করে দিয়ে নতুন লোকজন চিন্তা করতে হবে’।
এই পরিস্থিতিতে শেখ রেহানা একটি ভারসাম্যের কাজ করতে পারেন বলে আলোচনায় বলেন ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক। ‘রেহানা বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে রাজনীতি মোটামুটি ভালো বোঝে, পার্টি পলিটিক্স ভালো বোঝে। যদিও রেহানাকে আমি দেখেছি সবচেয়ে নন-পলিটিক্যাল লোক। কিন্তু পলিটিক্স সে ভালো বোঝে। আসতে চায় না। কিন্তু সময় হলে বাধ্য হবে আসতে। যদি সময় হয়’।
‘যেমন হাসিনা আপার তো (শেখ হাসিনা) রাজনীতিতে অত ইন্টারেস্ট ছিল না। প্রথম দিকে ছাত্রাবস্থায় ছিল, কিন্তু পরে পুরো সংসার ধর্ম করেছেন। কিন্তু প্রয়োজনের খাতিরে হাসিনা আপা সুন্দর চালাচ্ছেন তো’।
সজীব ওয়াজেদ ও শেখ রেহানাকে একটি সুন্দর ‘কম্বিনেশন’ বলেও বর্ণনা করেন ড. সিদ্দিক। ‘জয় সরকার চালাবেন, রেহানা পার্টি চালাবেন, আমার মনে হয় এই কম্বিনেশনটা ভালো হবে। যদি প্রয়োজন হয়’। ‘রেহানা তো রাজনীতিতে আসতে চায় না। সে রিলাকটান্ট (অনিচ্ছুক) প্লেয়ার। ইতিহাসে দেখা গেছে রিলাকটান্ট প্লেয়াররাই ভালো করে’। জনাব সিদ্দিক বলেন, পলিটিক্সে কী হবে না হবে সেটা সময় বলে দেবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, শেখ রেহানার ‘রাজনৈতিক ভিশন ভালো’। তিনি রাজনীতিতে এলে খারাপ করবেন না বলে মনে করেন ড. সিদ্দিক। ‘আমার ব্যক্তিগত ধারণা হলো, জয় সরকারে ভালো করবে, রেহানা পার্টিতে ভালো করবে। আমি ফিল (অনুভব) করি সরকার সবসময় দল থেকে আলাদা থাকা উচিত’, বলেন শেখ রেহানার স্বামী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক। তবে ড. সিদ্দিক স্মরণ করিয়ে দেন, যাতে তার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সম্পর্কে যাতে কোনো অনুমান না করা হয়। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।