গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নয়াপল্টনে বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর কোনো বাধা-নিষেধ নেই বলেও জানান তিনি।
রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ডিসি হায়াতুল ইসলাম বলেন, এর মধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে নয়াপল্টনের সড়কও। এক্ষেত্রে যতটুকু সহযোগিতা করা প্রয়োজন তাও করা হবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির যে গণসমাবেশ হয়েছে, সেটিকে কেন্দ্র করে বিএনপির পার্টি অফিসকেন্দ্রিক গত ৭ ডিসেম্বর অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত হয়। এতে বেশকিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হয়।
তিনি আরও বলেন, মামলার কার্যক্রম ও ক্রাইম সিনের জন্য বিএনপির কার্যালয় একদিনের মতো বন্ধ ছিল। পরে কার্যালয়ের চাবি তাদের (বিএনপি নেতাদের) কাছে দিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয় তাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল।
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সড়কে বেরিকেড দেয়া প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য ছিল। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মতিঝিল এলাকায় শৃঙ্খলার স্বার্থে কিছু চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল। যা এরইমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। নয়াপল্টনের সামনের সড়ক খোলা আছে। বর্তমানে মানুষের চলাচল ও যান চলাচলও স্বাভাবিক।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দলের কার্যালয়ে যাবেন বলেও জানা গেছে। তাকে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি হায়াতুল ইসলাম বলেন, আজকে আমরা খবর পেয়েছি, বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসবেন এবং তারা তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।